
The Truth of Bengal: ইতিহাস তৈরি করল বম্বে হাইকোর্ট। ভুয়ো এনকাউন্টারের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল একসঙ্গে ১৩ জন পুলিশ কর্মীকে। ঐতিহাসিক এই রায় দেওয়া হয়েছে বোম্বে হাইকোর্টের তরফ থেকে। সেই সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের ইনস্পেক্টর, এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট প্রদীপ শর্মা। ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার ঘটনায় এই প্রথমবার একসঙ্গে ১৩ জন পুলিশকর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো। এই রায় দিয়েচে বম্বে হাইকোর্ট। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের কুখ্যাত ইনস্পেক্টর, এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট প্রদীপ শর্মা। ২৫ বছরে ১১২ টি ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যায় অভিযুক্ত তিনি। কোনও মামলাতেই এর আগে তার সাজা হয়নি।
মঙ্গলবারও যে মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার ঘোষণা করেছেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেড়ে এবং গৌরী গডসের বেঞ্চ, সেখানেও দায়রা আদালতে খালাসি পেয়ে যান তিনি। ২০০৮ সালে একদফা চাকরী থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন তিনি। কারণস্বরূপ জানা যায়,আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে তাঁর যোগসাজোশ এবং ৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের যোগাযোগের জোরে সেই চাকরীও পুনর্বহাল থাকে তার। এছাড়া ২০২১ সালে আম্বানিদের বাড়িতে বোমাতঙ্ক ছড়ানো ও তারপর মনসুখ হিরন হত্যার ঘটনাতেও যুক্ত এই প্রদীপ।
দীর্ঘসময় সাজা এড়িয়ে চলা প্রদীপ শর্মাকে ২০০৬ সালে রামনারায়ন গুপ্তা ওরফে লখন বাইয়ার হত্যার ঘটনায় হাইকোর্ঠ তাকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেয়। প্রদীপকে দায়রা আদালতের তরফ থেকে সাজায় খালাস করার পর তার বিরুদ্ধে এবং অন্য অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ফের হাইকোর্টে আপিল করেন রামপ্রসাদ গুপ্তা। যিনি বাই লখন ভাইয়ার হ্ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সাজা নিশ্চিত করতে দেড় দশক ধরে মরিয়া লড়াই চালান। গত নভেম্বরেই হাইকোর্টে শেষ হয় দীর্ঘ শুনানি। যাবজ্জীবন সাজার রায় দেয় বিচারপতি রেবতী বেরে ও গৌড়ী গডসের বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।