দেশ

ম্যানেজারের অবমাননাকর মেল দেখে খেপে আগুন, রেগে চাকরি ছাড়লেন কর্মী, রেডিটে ভাইরাল !

Employee's Heated Resignation Mail Against Manager's 'Toxic' Traits Goes Viral on Reddit

The Truth of Bengal: কেউ চাকরির জায়গায় অপমান সহ্য করতে পারেন না, কারণ কর্মস্থলে অপমান করার  সংস্কৃতি একেবারেই বাঞ্চনীয় নয়।অনেকেই সেজন্য ম্যানেজমেন্টের ভূমিকায় রুষ্ট হন।এরকমই এক অবমাননাকর ঘটনা সাড়া ফেলেছে।জানা গেছে,একজন কর্মীর কাজে তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চরম অপমান করেন।ম্যানেজারের মেলে শোরগোল পড়ে যায়। যারজন্য অফিস ছেড়ে দিতেও  কুণ্ঠা করেননি তিনি ।সেই আবেগপ্রবণ মেল কার্যতঃ  কাজের পরিবেশে তিক্ত আবহ তৈরি করে।ম্যানেজারের একতরফা আচরণে কর্মী খেপে যান। সেই মেলের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এসেছে।এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কর্মী শেষদিন ম্যানেজারের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।সেকথা জানার পরই মেল পাঠান তিনি। যেখানে কর্মীটি উল্লেখ করেছেন,এভাবে অশোভন আচরণ করা  একজন ম্যানেজারের সঙ্গে কাজ করা মোটেই সম্ভব নয়। তাই ম্যানেজারের

আচরণ দেখে অসন্তুষ্ট কর্মী চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিতে দ্বিধা করেননি।তবে এই কলমের লড়াই শুধু অফিসের গন্ডির মধ্যেই আবদ্ধ নেই। প্রকাশ্যে চলে আসছে।কারণ চাকরি ছেড়ে দেওয়া কর্মী বলছেন, অ্যাডলফ হিটলারের মতো জাতি বিদ্বেষী আচরণ করেছেন সেই ম্যানেজার। কিভাবে তাঁকে দিনের পর দিন এই বঞ্চনাও লাঞ্চনার মুখে পড়তে হয়,কিভাবে প্ররোচিত করা হয়েছে অনৈতকভাবে,সেসব সবিস্তারে তুলে ধরতে সরব হয়েছেন সেই কর্মী।তাঁর মতে অভিযুক্ত ম্যানেজার  এরকম হাজারো নজির গড়েছেন। এমনকি উদ্ধত ম্যানেজার কর্মীদের সঙ্গে নোটিশ পিরিয়ডেও বাজে ব্যবহার করেন বলে চাকরি ছেড়ে দেওয়া কর্মী জানিয়েছেন। টিম মিটিংয়ের পর কর্মীদের মানসিক চাপ সৃষ্টি,কিছু কর্মীকে মধ্যাহ্নভোজ বা অন্য আলোচনার টেবিলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আলাদা করে দেওয়ার কাজেও ম্যানেজার সিদ্ধহস্ত বলে অভিযোগ করেছেন চাকরি ছেড়ে দেওয়া সেই ব্যক্তি।খারাপ ব্যবহারের জন্য হয়তো অনেকেই মুখ খোলেন না।অনেকসময় আবার  বাজে ব্যবহারের কথা হাইলাইটের জন্য তুলে ধরা হয়।

তবে এই ঘটনায় যে একেবারেই সেরকমটা ঘটেনি তা স্পষ্ট বলে চাকরি ছেড়ে দেওয়া কর্মী বলছেন। এই প্রসঙ্গে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা এই কর্মীর অভিযোগ, যাঁরা তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।  তাই কর্মচারীবন্ধু  ম্যানেজমেন্ট  তৈরি করতে গেলে,কর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা যে বিশেষ জরুরি তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন।আসলে এই কোম্পানির ম্যানেজার মহিলা কর্মীদের সঙ্গে যে খারাপ ব্যবহার করেছেন তা আসলে তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার অক্ষমতাকে স্পষ্ট করে বলেও সোচ্চার হয়েছেন এই বিদ্রোহী কর্মী।তাই যোগ্য ম্যানেজার হতে গেলে অবশ্যই তাঁকে কর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যে জরুরি তা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরেছেন তিনি। কর্মস্থলে শত চ্যালেঞ্জ ও চাপের মাঝেও কর্মীদের আত্মমর্যাদাও সম্মান বজায় রেখে কাজ করতে পারাটা যে বড় বিষয় কর্মসংস্কৃতির স্বার্থে তাও এই হাইটেক যুগের কর্পোরেট কালচারে অভ্যস্ত ম্যানেজমেন্টকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফকথা শিরদাঁড়া সোজা করে আত্মসম্মান বজায় রেখে কাজ করে যাওয়া একটি আদর্শ কর্মসংস্কৃতির উদাহরণ তৈরি করে।তাই অসম্মানিত হয়ে চেয়ার দখল করে রাখার এই অভ্যাস কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া যে দরকার,বলেও মনে করছেন পদত্যাগী কর্মী।

Related Articles