দেশ

নির্বাচনী বন্ডের খরচ তুলতে দর বাড়াচ্ছে ওষুধ কোম্পানি,আমজনতার গায়ে লাগছে ওষুধের আগুন দরের আঁচ  

Electrical Bonds and Medicine

The Truth of Bengal: ভোটে কালো টাকার অপব্যবহার রুখতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় যু্ক্ত হয় ইলেক্টোরাল বন্ড। সেই বন্ডের সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। অন্যান্য দলের মতোই ঘুরপথে সাহায্য পেয়েছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। গ্লেনমার্কের মতো কোম্পানি পেয়েছে ৯.৭৫কোটি টাকা। ওষুধ প্রস্তুতকারকরা মনে করছে,তার জন্য দর বাড়ছে ওষুধের। ব্লাড সুগার থেকে ডায়বেটিস সব ওষুধের চড়া দরে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে রোগীদের।তাই আমজনতার প্রশ্ন,বন্ডের ফাঁসে কেন হাঁসফাঁস করবে রোগীদের জীবন ? মানবিক কারণে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে এই বোঝা চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রব্যবস্থার নীতিকাররা পর্যালোচনা করুন,আবেদন সাধারণ মানুষের। সময়টা আঠারো সাল।ক্ষমতায় মোদি সরকার।তত্কালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেন,নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহার রুখতে চালু করা হবে নির্বাচনী বন্ড। রাজনৈতিক দলগুলোকে নগদ সাহায্যের বদলে বন্ডের মাধ্যমে স্বচ্ছ পথে লেনদেনের সুবিধা করে দেওয়া হয়।কোনদল কত পেল তার স্পষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকার করে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। পরে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে স্টেট ব্যাঙ্ক জনসমক্ষে তথ্য নিয়ে আসে।দেখা যায় বিজেপি সবথেকে বেশি আর্থিক সুবিধা পেয়েছে।

নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি পায়

৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা

কংগ্রেস পায় ১৩৩৪ কোটি টাকা

অন্যান্য দলও অর্থ সাহায্য নেয়

৩৬টি ওষুধ কোম্পানি মিলে ইলেক্টোরাল বন্ড 

কেনে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি

নির্বাচনী বন্ডের আঁচ লাগছে জীবনের

ওষুধে ,২০শতাংশের কাছে দাম বেড়েছে

ব্লাড সুগার-ডায়বেটিসের মতো রোগের ওষুধ মহার্ঘ

মহাফাঁপরে রোগীও রোগীর পরিজনরা

অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলোকে সাহায্য দেওয়ার বিনিময়ে

 চড়া দরে ওষুধ বেচছে কোম্পানিগুলো

তথ্যে আরও জানা গেছে ,নির্বাচনী বন্ডে গ্লেনমার্ক দিয়েছে ৯.৭৫ কোটি টাকা।  ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখতে গ‌্যালভাস খেতে হয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এদেশের কোটি কোটি মানুষকে। এছাড়াও নোভারটিস নামে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি  ওষুধের দাম সাম্প্রতিক  সময়ে  দারুণভাবে বেড়েছে। রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে   হাই প্রেশার, হাই সুগার, কিডনি-সহ সমস্ত অসুখের ওষুধই।  ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে  নগদ লাভের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রের শাসকরা ঘুরপথে এইসব ওষুধ কোম্পানিকে খুশি রাখছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তাই রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করা  দলমত নির্বিশেষে মানুষ রোগীদের স্বার্থে এই দরবৃদ্ধির বিষয়টিতে আলোকপাত করছে।তাঁরা মনে করছেন, এই ইলেক্টোরাল বন্ডের নামে যদি কোনও  ওষুধ কোম্পানি সুবিধা নেয় তাহলে  জনস্বার্থের মতোই জনস্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে বাধ্য।কোভিড কালের পর থেকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।এই অবস্থায়  আয়ের তুলনায়  খরচের বহর কমে যাওয়ায় আমজনতার তরফ থেকে পর্যালোচনার দাবি উঠছে।সমাজের দুর্বলতর অংশের মানুষের সুরক্ষাকবচ বজায় রেখে কোনও বিকল্প পথ ভেবে দেখার আর্জিও জানাচ্ছেন রোগীর পরিজনরা।তাই কেন্দ্রের শাসকদল বা বিরোধীরা মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ওষুধ কোম্পানির সুবিধা নেওয়া থেকে দূরে থাকুক,এটাই চান সমাজকর্মীরাও। সবপক্ষের অভিমত,ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অনৈতিক বিক্রিবাটার কারবার সবার আগে বন্ধ হোক।  প্রতক্ষ চাপের মতোই পরোক্ষ ভার আমজনতার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ফার্মা কোম্পানির কৌশল রদ করার কথা বলছে,  গণতন্ত্রপ্রেমী সংগঠনগুলো।

Related Articles