দেশ

কানাডায় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ২ ভারতীয় পাইলট     

Canada Plane Crash

The Truth of Bengal: কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে শনিবার একটি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ ভারতীয় প্রশিক্ষণরত পাইলটের। দুর্ঘটনায় নিহত দুই পাইলটের নাম হল অভয় গডরু ও যশ বিজয় রামুগড়ে। তারা দুজনেই মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কানাডার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হালকা টুইন-ইঞ্জিনের বিমানটি চিলিওয়াক শহরে গাছে ধাক্কা লেগে ঝোপের মধ্যে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক ছাড়াও আরও একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাঙ্কুভার থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পূর্বে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার চিলিওয়াক শহরে একটি ছোট বিমান ভেঙে পড়ে।  এতে পাইলট ও বিমানে থাকা সকলেই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন সার্জেন্ট। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার বিষয়ে নিহতদের পরিবারকে জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড জানিয়েছে যে তারা তদন্তকারীদলকে দুর্ঘটনাস্থলে পা্ঠিয়েছে। প্রসঙ্গত জুলাই মাসেও কানাডায় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে চুরমার হয়ে যায় একটি বিমান। চালক ছাড়াও ওই বিমানে ছিলেন পাঁচ জন যাত্রী। দুর্ঘটনায় সকলের মৃত্যু হয়।

কানাডার আলবের্টা প্রদেশের ক্যালগ্যারি শহরে ওই বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে। কানাডা পুলিশ জানায় ২৮ জুলাই শুক্রবার ক্যালগ্যারির স্প্রিংব্যাঙ্ক বিমানবন্দর থেকে ওই বিমানটি রওনা দিয়েছিল। সেটির গন্তব্য ছিল ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সালমন আর্‌ম। রাত ১টা নাগাদ কানাডার জয়েন্ট রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তরফে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায় বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিমানটিকে। এরপর কানাডা পুলিশ নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে পাঠায় একটি অন্য বিমান। সেই বিমানটি ক্যালগ্যারি থেকে অন্তত ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড় মাউন্ট বোগার্টে খুঁজে পায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ। বিমানের খোঁজ মিলতেই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল উদ্ধারকারী দল। কিন্তু কোনও যাত্রী বা সওয়ারিকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি। পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। বিমানের ভিতর থাকা সকলেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। এদিকে ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়।

সম্প্রতি কানাডা নিবাসী খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংয়ের মৃত্য়ুর ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপরই কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এই আবহে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে দিল্লি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলে ভারত। সেই মতো কূটনীতিকদের ফেরানর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কানাডা। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই ইস্যুতে কানাডাকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। ১০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডার কূটনীতিকদের দেশে ফেরাতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি অরিন্দ বাগচি জানিয়েছিলেন, ভারতে নিযুক্ত কানাডার কূটনীতিকদের সংখ্যা বেশি। এই প্রেক্ষিতে কূটনীতিকদের সংখ্যার সামঞ্জস্য আনতে ৪১ জনকে দেশে ফেরাতে বলা হয়েছে কানাডা সরকারকে। এই আবহে কানাডাতে দুই প্রশিক্ষণরত ভারতীয় বিমানচালকের মৃত্যুর নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। এর পিছনে কোনও মদত বা উস্কানি নেই তো? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সেবিষয়েও।

Related Articles