Bridge Scam in Bihar: ৬ কোটি টাকার ব্রিজ, কিন্তু রাস্তা কোথায়? মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে কাটিহারের ‘উন্নয়ন’
উদ্দেশ্য ছিল বন্যাপ্রবণ এলাকার কয়েকটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করা। কিন্তু বাস্তবে, সেতুর এক প্রান্তে কোনো রাস্তা নেই, বরং শুধু চাষের জমি আর এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটি পিলার, যার ভিত রয়েছে বেসরকারি জমির ওপর ।
Truth of Bengal: বিজেপি শাসিত রাজ্যে চরম অব্যবস্থা। বিহারের কাটিহার জেলার দণ্ডখোঁড়া ব্লকের পশন্ত ব্রিজ আজ সরকারি অব্যবস্থার এক জীবন্ত উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই সেতু। উদ্দেশ্য ছিল বন্যাপ্রবণ এলাকার কয়েকটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করা। কিন্তু বাস্তবে, সেতুর এক প্রান্তে কোনো রাস্তা নেই, বরং শুধু চাষের জমি আর এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটি পিলার, যার ভিত রয়েছে বেসরকারি জমির ওপর ।দূর থেকে দেখতে দৃঢ় কাঠামোর এই ব্রিজ যেন উন্নয়নের প্রতীক—কিন্তু বাস্তবে এটি এক অকেজো স্থাপনা (Bridge Scam in Bihar)।
সেতুর এক প্রান্তে নেই কোনও রাস্তা, শুধু চাষের জমি ও ফসলের ক্ষেত। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে একটি অসমাপ্ত পিলার, যার ভিত্তি রয়েছে বেসরকারি জমির ওপর। সেই জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, আর সমাপ্তির নির্ধারিত সময় ছিল ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর। ঠিকাদার সংস্থা নির্ধারিত সময়ে সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ শেষ করলেও সংযোগ রাস্তা ও জমি অধিগ্রহণের কাজ আর এগোয়নি। ফলে সেতুটি এখন কার্যত মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে, যাতায়াতের কোনও সুযোগ নেই (Bridge Scam in Bihar)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের বিস্তারিত খসড়া তৈরি হয়েছিল জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না করেই। গ্রামবাসী রবীন্দ্র যাদবের কথায়, ‘ সেতু তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোনও রাস্তা নেই। এখন শুধু গরু-ছাগলই ওদিক দিয়ে যায়। আমাদের জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তনই আসেনি।‘ এই বিষয়ে কাটিহারের জেলা প্রশাসক মনীশ মীনা স্বীকার করেছেন যে সমস্যা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে।‘ স্থানীয়দের প্রশ্ন এখন একটাই — যে সেতুর জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলো, সেটি যদি মানুষ ব্যবহারই করতে না পারে, তবে সেই উন্নয়নের অর্থই বা কোথায় (Bridge Scam in Bihar)?






