পণের দাবিতে নববধূর মর্মান্তিক মৃত্যু, বান্দায় চাঞ্চল্য
মৃতার পরিবারের দাবি, পণের দাবিতেই খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে।
Truth Of Bengal: উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় বিয়ের মাত্র সাত মাসের মধ্যেই মর্মান্তিক পরিণতি এক নববধূর। বুধবার নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় সালোনি নামের এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতার পরিবারের দাবি, পণের দাবিতেই খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দা শহর কোতওয়ালি এলাকার নিউমার্কেটের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে গত সাত মাস আগে বিয়ে হয়েছিল সালোনির। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ মৃতার বাবা মনোজের। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবিপূরণে তিনি মোটা অঙ্কের ঋণও নেন, কিন্তু তাতেও নির্যাতনের অবসান হয়নি।
মনোজ জানিয়েছেন, বুধবার হঠাৎ ফোনে খবর পান যে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, মেয়ের দেহ ঝুলছে, কিন্তু পা মেঝেতে ছোঁয়া। তাঁর অভিযোগ, ‘ ওরা আমার মেয়েকে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আত্মহত্যা নয়, এটা পরিকল্পিত খুন।‘ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পণের দাবিতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) মাভিস টোক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে, এটি আত্মহত্যা না খুন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে, তদন্ত চলছে।‘ সালোনির পরিবারের দাবি, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, ময়নাতদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনার পর ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, পণপ্রথা রুখতে আইনি কঠোরতা সত্ত্বেও কেন এখনও তরুণীদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে।






