দেশ

সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, অযৌক্তিক মন্তব্যের জবাব দিল ভারত

America worried about CAA, India responded with absurd comments

The Truth of Bengal: আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের সিএএ নিয়ে বক্তব্যের পরেই জবাব দিল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আমেরিকার উদ্বেগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের বার্তাকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছে ভারত। ভারতবর্ষে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জারি করার বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই দেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভারতবর্ষে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কিভাবে প্রণয়ন হবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত আমেরিকা। পাশাপাশি এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কিভাবে চালু করা হবে তারও পর্যবেক্ষণ করবে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সিএএ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই কথা জানান তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়েছিল চার বছর আগেই। তবে চারবছর আগে সেই বিল আইনে পরিণত হলেও কেন এতদিনে তা কার্যকর হয়নি? ভোটের মুখেই কেন চালু করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র? আর এই নিয়েই সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট গিমিক বলে মন্তব্য ঠুকছেন বিরোধীরা। তবে দেশজুড়ে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে সেই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত।

তবে মুসলিমরা যারা ওই সমস্ত দেশ থেকে ভারতে এসেছেন তারা নাগরিকত্ব পাবেন না। ফলে কেন ধর্মভেদে দ্বিচারিতা হচ্ছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে উদ্বিগে রয়েছে যারা বর্তমানে ভারতবর্ষে বসবাস করছেন। এমনই প্রেক্ষাপটে এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কিভাবে প্রনয়ণ হবে ভারতে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার নজরদারি চালাবে আমেরিকা। এখন দেখার আমেরিকার নজরদারির মধ্যে কিভাবে ভারতবর্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রনয়ণ হয়।

Related Articles