দেশ

তালাবদ্ধ শৌচাগার থেকে উদ্ধার ৪০ নাবালিকা, অবৈধ মাদ্রাসা ঘিরে রহস্য ঘনীভূত

নাবালিকাদের মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছিল পড়াশোনার জন্য, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ অফিসারকেও জানানো হয়েছে।

Truth Of Bengal: চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। বাহরাইচ জেলার পায়াগপুর মহকুমার একটি অবৈধ মাদ্রাসার তালাবদ্ধ শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল ৪০ জন নাবালিকা। বুধবার সন্ধ্যায় এই অভিযান চালানো হলেও অবশেষে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে পুলিশ।  সূত্রের খবর, মাদ্রাসাটি কোনও সরকারি অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি গোপন সূত্রে অভিযোগ পাওয়ার পরই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালায়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মহকুমাশাসক অশ্বিনী কুমার পাণ্ডে।

আরও পড়ুনঃ ক্ষমা চাওয়া উচিত বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে, শাহকে খোঁচা অভিষেকের

তিনি জানান, মাদ্রাসায় ঢোকার সময় কর্তৃপক্ষ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে ভিতরে প্রবেশ করা হলে একটি তিনতলা বাড়ির চতুর্থ তলার শৌচাগার থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি ৪০ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়।উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের আতঙ্কিত অবস্থায় পাওয়া যায়। মহিলা পুলিশ তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়। প্রশাসন তাঁদের পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। নাবালিকাদের মাদ্রাসায় পাঠানো হয়েছিল পড়াশোনার জন্য, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ অফিসারকেও জানানো হয়েছে। বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককে।

লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/truthofbengal/

এই প্রসঙ্গে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) অশ্বিনী কুমার পাণ্ডে বলেন, মহিলা পুলিশকর্মীরা শৌচাগার থেকে ওই নাবালিকাদের উদ্ধার করেন। সেইসময় তাদের কথা বলার পরিস্থিতিতে ছিল না। অন্যদিকে, সবদিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রশাসনের দাবি, মাদ্রাসাটি অবৈধভাবে চালানো হচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এখানে সন্দেহজনক কাজকর্ম চলছিল। মাদ্রাসার মালিক খালিল আহমেদ অভিযানের সময় পালিয়ে যান। তাঁর মেয়ে ফতিমা অবশ্য দাবি করেছেন, এটি কোনও মাদ্রাসা নয়, বরং একটি কোচিং সেন্টার। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, একসময় ছোট জুতো-স্যান্ডেলের দোকান চালানো খালিলের হঠাৎ তিনতলা বাড়ি ও ২৪টি দোকানের মালিক হওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই ইডি তদন্তের দাবি তুলেছেন। জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই জেলায় অন্তত ৪৯৫টি অবৈধ মাদ্রাসা চলছে।তল্লাশি চলাকালীন মাদ্রাসার মালিক খালিল আহমেদ চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান। তাঁর মেয়ে ফতিমা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।

Related Articles