
The Truth of Bengal: অদ্বৈত-নিত্যানন্দের ভূমিতে ইশ্বর সাধনার মতোই শিল্পসাধনাও বরাবর চর্চায় থাকে।শান্তিপুরী শাড়ি আর মাটির কারুকাজ ভূভারতে সুনাম কুড়িয়েছে। কথিত আছে, মহারাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় শিল্পের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। শান্তিপুরের তাঁত শিল্প সম্পর্কে দীন বন্ধু মিত্র লিখেছিলেন কুটির শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র শান্তিপুর।মুখে হরিনাম আর হাতে শিল্পসৃষ্টির জাদু দেখানোর ইচ্ছা এই বৈষ্ণবভূমিকে বিশেষ মর্যাদায় বসিয়েছে। ১৪০৯ সালে গৌড়ের রাজা গণেশ দানু সাধনদেবের সময়ে যে তাঁত জন্ম নেয়,সেই বয়ন শিল্প এখন যন্ত্রসভ্যতার চাকায় থমকে দাঁড়াচ্ছে।
এমনটাই মনে করছেন,২০১২সালে জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীও। ঐতিহ্যপূর্ণ শান্তিপুরের বয়নশিল্পের খ্যাতি গোটা দেশ সহ বিশ্বজুড়ে, কিন্তু সেই তাঁত এখন ধুঁকছে। যারজন্য সহযোগী শিল্পগুলো কঠিন সমস্যার মুখে। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে যেমন ছোট পুতুল বিখ্যাত, তেমনই আবার শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীদের তৈরি দেবী মূর্তির খ্যাতি রয়েছে সারা দেশে। মাটির জগতের মনপসন্দ কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টায় থাকেন এখানকার শিল্পীরা।
শান্তিপুর জনপদের বাসিন্দাদের স্বপ্নবোনার কাজ তরান্বিত করতে মৃতপ্রায় শিল্পের উথ্থান চায় আপামর এলাকাবাসী।বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী আশ্বস্ত করেন,শিল্পীসমাজের হিত করার জন্য যতটা সম্ভব তিনি কাজ করবেন।রাজ্য সরকারের নজরে সবকিছু আনার কথাও দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র সুতোর ব্যাংক তৈরি করেছেন, যেখান থেকে স্বল্পমূল্যে সুতো কিনতে পারেন তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁতিরা।প্রশাসন ভেবে দেখছে মৃত্ শিল্পীদের আর্থিক উন্নয়নে কতটা কী করা যায়।তাই শিল্প মানচিত্রে এই শান্তিপুর কিভাবে মাথা তুলে দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে নদিয়ার মানুষ।