
The Truth of Bengal: গত কয়েক মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। কুকি ও মেইতি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। ভূমিছাড়া হয়ে পড়শি রাজ্য আসাম ও মিজোরামে শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। দফায় দফায় সংঘর্ষে বারবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সফরে গিয়েছেন। কথা বলেছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ থেকে ভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তাতেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে শুরু করে। এমনকি রাজ্যে শাসক দলের বিধায়ক, মন্ত্রী এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যে আধাসেনা মোতায়েন থাকলেও, কড়া হাতে হিংসা দমনের চেষ্টা চালানো হয়। এই পরিস্থিতিতে কুকি জনগোষ্ঠীর সংগঠন মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। তাঁদের দাবি ছিল অবিলম্বে, মণিপুরে সেনা মোতায়েন করা হয়। আবেদনপত্র পাঠের পরেই, কুকি সম্প্রদায়ের আইনজীবী কলিন গনসালভেস জানান, মণিপুরে হিংসায় পুরোপুরি ইন্ধন দিচ্ছে মেইতেই গোষ্ঠী। তাই কুকি গোষ্ঠীদের জন্য সেনা মোতায়েন করা হোক।
বাদি কৌঁসুলির বক্তব্য শোনার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, আবেদনকারীর আইনজীবীকে জানান, মণিপুরে নিয়ন্ত্রণ নিক সেনা। গত ৭০ বছরে আদালতের ইতিহাসে এমন কোনও নজির নেই, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট সেনাকে এমন নির্দেশ দিচ্ছে। গণতন্ত্রে, নির্বাচিত সরকারপক্ষই সেনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আদালত এই কাঠামোকে ভাঙতে পারে না। যদিও প্রধানবিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, রাজ্যকে রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিক ও সম্পত্তির সুরক্ষা করার পদক্ষেপ করতে হবে। যদিও সেনা মোতায়েন হবে কি হবে না, তা রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিচারাধীন।