দেশ

অভাব আর মানসিক অবসাদ? তিন মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী বাবা

একই সঙ্গে তাঁর তিন মেয়ে, অনুরাধা কুমারী, শিবানি কুমারী এবং রাধিকা কুমারীও মারা গেছে।

Truth Of Bengal: বিহারের মুজফফরপুরে রবিবার রাতে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এক বাবা তাঁর পাঁচ সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করার পর নিজে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মুজফফরপুরের বাসিন্দা অমরনাথ রাম তাঁর পাঁচ ছেলেমেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় অমরনাথ রামের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর তিন মেয়ে, অনুরাধা কুমারী, শিবানি কুমারী এবং রাধিকা কুমারীও মারা গেছে। তবে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছে তাঁর দুই ছেলে শিবম কুমার ও চন্দন কুমার। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দুই ছেলের মধ্যে শিবম কুমার জানিয়েছে, তার বাবা তাকেও একইভাবে গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শিবম কোনোমতে নিজের গলা থেকে দড়ি খুলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সে জানায়, “রাতে বাবা এবং ভাইবোনেদের সঙ্গে ঘরেই ছিলাম। আমি ফোন দেখছিলাম। বাবা শৌচাগারে গিয়ে ফিরে এসে আমাদের মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। আমি গলা থেকে দড়ি সরিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম।”

তদন্তকারীরা এই ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অমরনাথের স্ত্রী গত বছর মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। এর সঙ্গে বাড়িতে তীব্র অর্থাভাব ছিল। পাঁচ ছেলেমেয়েকে ঠিকমতো খাওয়ানো-পরাতে না পারার কারণে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তবে এই কারণই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মুজফফরপুরের সাকরা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহত চারজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই ছেলের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছে। পুলিশ অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে।

Related Articles