গ্র্যাচুইটি ও পেনশন কর্মচারীর সম্পত্তি, প্রমাণ ছাড়া তা কাটছাঁট নয়: ছত্তিশগড় হাই কোর্ট
Gratuity, pension are employee's property, can't be deducted without proof: Chhattisgarh HC

Truth of Bengal: ছত্তিশগড় হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, কোনও সরকারি কর্মীর পেনশন, গ্র্যাচুইটি বা ছুটির নগদীকরণে কাটা-ছাঁট করতে পারবে না রাজ্য সরকার, যদি না সেই কর্মী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। শুধুমাত্র প্রশাসনিক নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
শুক্রবার, বিচারপতি বিভু দত্ত গুরু এক মামলার রায়ে বলেন, “গ্র্যাচুইটি ও পেনশন কোনও দয়ার দান নয়। এগুলি একজন কর্মচারী তাঁর সততা ও দীর্ঘ দিনের পরিষেবার বিনিময়ে পান। তাই এই সুবিধাগুলি তাঁর সম্পত্তি।”
এই রায় উঠে এসেছে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী রাজকুমার গোনেকারের মামলায়। তিনি ২০১৮ সালে অবসর নেন এবং ২০২৪ সালের ২০ জুন প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুর আগে সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তছরুপের অভিযোগে একটি শোকজ নোটিস দেয় এবং তাঁর পেনশন থেকে ৯.২৩ লক্ষ টাকা কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও গোনেকার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন, তা সত্ত্বেও সরকার টাকা কেটে নেয়।
হাই কোর্ট জানায়, কোনও বিচার বিভাগের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এভাবে টাকা কেটে নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। ছত্তিশগড় সিভিল সার্ভিস (পেনশন) আইন, ১৯৭৬ অনুসারে, কেবলমাত্র আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
হাই কোর্ট আরও জানায়, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় অনুযায়ীও, পেনশন কেটে নেওয়ার আগে পেনশনভোগীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত। এই মামলায় সেই নিয়ম মানা হয়নি।
ফলে, হাই কোর্ট গোনেকারের পরিবারকে ৪৫ দিনের মধ্যে কেটে নেওয়া পুরো টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায় ভবিষ্যতে পেনশনভোগীদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।