‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার প্রস্তুতি স্পিকারের
Speaker prepares to form joint parliamentary committee on 'one nation, one vote'

Truth Of Bengal: ‘এক দেশ এক ভোট’ সংসদে পেশ হলেও তা পাস হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে সরকার। শুধু শরিক দলগুলোই নয়, বিজেপির ভিতরেও এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে বিজেপির ২০জন সাংসদ অনুপস্থিত থাকায় এনডিএ-র মধ্যে বিভাজন দেখা দিতে পারে। এমন আশঙ্কা জোরদার হয়েছে। খোদ নীতিন গডকরি সংসদে বিল পেশের সময় অনুপস্থিত থাকায় বিজেপির ফাটল প্রকাশ্যে আসছে। তাই ড্রামেজ কন্ট্রোল করতে বিজেপি এই বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠাতে তৎপর।
শুক্রবার সেই হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনের শেষে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়তে চান স্পিকার ওম বিড়লা। সেইমতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে প্রস্তাব দিতে চান তিনি। মোট ৩১জন সদস্য থাকতে পারে এই যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। যেহেতু বিজেপির সাংসদ সংখ্যা বেশি তাই তাঁদের দলেরই সাংসদদের আধিপত্য থাকতে পারে। সূত্রের খবর, এই যৌথ কমিটির মেয়াদ থাকতে পারে ৯০ দিন। পরে প্রয়োজন হলে যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। বিলের কোথাও কোনও সংশোধন, সংযোজন বা কোনও অংশ বাদ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে এই কমিটি।
এরপরে বিল দু’টি নিয়ে ভোটাভুটি হবে লোকসভায়। পাশ হলে তা রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। সেখানে পাশ হলে, পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।তবে বিরোধীরা এই বিলের বিরোধিতা করতে মরিয়া।তাঁরা বলছেন,শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে না বলে বিরোধী শিবির মনে করছে। বিরোধীদের অভিমত, সংখ্যার পার্টিগণিতে এনডিএ দুই তৃতীয়ংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা তাই নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।