পথের কালীকে সাজানো হয় ১০০ভরি সোনা দিয়ে
The Kali on the path is decorated with 100 pounds of gold

Truth of Bengal: নেই কোনও মায়ের পাকা মন্দির। পথেই পুজোপাঠ হয় দেবীর। তাই ভক্তদের কাছে তিনি পথের কালী। পাণ্ডুয়ার মণ্ডলাই গ্রামে ধুমধাম সহকারে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে পথের কালীর। দীপান্বিতা কালী পুজোয় ১০০ভরি সোনা আর ৭কেজির কাজে রুপোর অলংকার দিয়ে দেবীকে সাজানো হয়।
কালী মায়ের নেই কোনও পাকোপোক্ত মন্দির। তাই পথেই পুজোপাঠ হয় মায়ের। এই কারণে পাণ্ডুয়ার মণ্ডলাই গ্রামের মাকে বলা হয় পথের কালী। ঠিক কবে পুজো শুরু হয়েছিল তা সবারই অজানা। তবে মনে করা হয় আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পূজিত হয়ে আসছে পথের মা। দীপান্বিতা অমাবস্যায় সাজিয়ে তোলা হয় মাকে।
১০০ ভরি সোনা ও ৫-৭ কেজি রুপোর অলংকারে সাজানো হয় দেবীকে। পান্ডুয়া মণ্ডলাই গ্রামের এই পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। মায়ের কাছে পুজো দেন। পান্ডুয়ার মণ্ডলাই একদা ছিল জনশূন্য এলাকা। এই গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যেত কঙ্ক নামে নদী। সেই নদী তীরেই ছিল শ্মশান। কথিত আছে সেই শশান ছিল তন্ত্রসাধকদের পীঠস্থান। সেখানেই একতন্ত্র সাধকের হাত ধরে এই কালী পূজার শুরু হয় বলে লোকশ্রুতি রয়েছে।
ওই কাপালিক এক রাতের মধ্যে কালীমূর্তি তৈরি করে পুজো করতেন, সেই রাতেই বিসর্জন দিতেন। সবটাই করতেন লোক চক্ষুর আড়ালে। তবে হঠাৎ এক বছর এক গৃহী লোক কাপালিকের এই ক্রিয়াকলাপ দেখে ফেলে। তারপরে তার হাতে পুজো সমস্ত কিছু সমর্পণ করে নিজের অন্তর্হিত হয়ে যান কাপালিক। সেই সময় থেকে তিনি পুজো করতেন ।কাল ক্রমে সেই কঙ্কনদীর পাড়ের শ্মশানে জনবসতি তৈরি হয়েছে। হয়েছে পাকা রাস্তা। আর সেই রাস্তার ধারে পুজো হয় পথের মায়ের।
জনশ্রুতি আছে গ্রামের সর্বস্ব বিপদ মা মাথায় করে রক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাই মায়ের নেই কোন মন্দির। বর্তমানে এই পুজো মন্ডলাই বারোয়ারি পথের কালীমাতা পুজো কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। পুজায় বলিপ্রথা চলে আসছে। প্রত্যেক বছর দীপান্বিতা অমাবস্যা হয় মায়ের পুজো, মানসিক করা বহু মানুষ দণ্ডি কাটেন। অনেকেই মাকে নিজের বুক চিরে রক্ত দেন। মন্ডলাই সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ এখানে আসেন পুজো দিতে। মাকে ভক্তরা যে ফল মিষ্টি দেয়,সেই ফল মিষ্টি পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।