রাজ্যের খবর

দূষণমুক্ত শিল্পনগরী হোক,পরিবেশ বাঁচানোর ডাক পরিবেশপ্রেমীদের

Environmentalists to save the environment

The Truth of Bengal: আসানসোল যাকে একসময় ভারতের রুঢ় বলা হত। সেই আসানসোলে পুকুরের জলে কার্বনের কালো স্তর পড়ে যায়। কোথাও কোথাও গাছের পাতার সবুজ রং কালোয় রূপান্তরিত হয়! এই ‘কালো’র জন্য ধুঁকছে আসানসোল- শিল্পাঞ্চলের ফুসফুস। নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ , কলকারখানাগুলি নিয়ম না মানায় এমন দূষণ-চিত্র। তাই আসানসোলকে দূষণের গ্রাস থেকে কীকরে বের করে আনা যাবে তা জনসচেতনতায় জোর দিচ্ছে প্রশাসন।

জাতীয় পরিসংখ্যানে আসানসোল দ্বিতীয় দূষিত শহরের তালিকায় থাকায় উদ্বিগ্ন অনেকেই। আসানসোল  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আয়োজিত সেমিনারে দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দেন আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। রাষ্ট্রায়ত্ত ইসকো কারখানা থেকে শুরু করে ইসিএলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে এই সেমিনারে। বেশ কিছু কল কারাখানা ও খনি সংস্থার সদস্যরাও এই আলোচনায় অংশ নেয়। এই আলোচনা চক্র থেকে আগামী দিনে কিভাবে পরিবেশের উন্নতি করা যায়,সেজন্য বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসার আবেদন জানান মন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সতর্কীকরণ ঘোষণাকে মর্যাদা দিয়ে, ইস্কো কর্তৃপক্ষ পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, ইস্পাত উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কার্বন নিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।পাশাপাশি, কারখানায় প্রচলিত বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো-সহ আবাসন এলাকায় বিশেষ নজর চালানো হচ্ছে।তাদের পথে অন্যরা এগিয়ে আসুক চায় পরিবেশবিদরা। দূষণরোধে সার্বিক উদ্যোগ একদিন এই আসানসোলকে স্বচ্ছ-নির্মল শহরে পরিণত করবে বলে প্রশাসনের কর্তাদের আশা।

Related Articles