রাজ্যের খবর

দুর্গারূপী শিলার পুজো ধিমাল জনজাতির প্রকৃতি-ই দেবী ধিমাল জনজাতির কাছে

Durga pujo 2023

The Truth of Bengal: প্রকৃতি-ই দেবী। তাই দেবীর কোনও মূর্তি থাকে না। ২৫০ বছর ধরে শিলারূপী দুর্গাকে পুজো করে আসছে মানুষ। ঐতিহাসিক নকশালবাড়ির ধিমাল জনজাতি এমন ভিন্ন ধারার দুর্গা পুজো করে আসছেন। দুটি শিলা পাশাপাশি রাখা শতাধিক বছর ধরে। নাম দান্তাওরাং ও দান্তাবেরাং। আর সেই দুটি শিলার পুজো করে ধিমাল জনজাতি। প্রথাগত ভাবে, ধিমলরা প্রকৃতির উপাসক। তাদের কোন মন্দির বা মূর্তি নেই। তাই প্রকৃতিকেই তাঁরা মাতৃরূপে পুজো করে আসছেন বছরের পর বছর ধরে। প্রচলিত দুর্গাপুজোর মতোই ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে পুজো।

ভারতের প্রাচীন জনজাতিদের মধ্যে ধিমাল অন্যতম। তবে এখন ওই জনজাতি লুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে।সমাজের এত বিবর্তনে নিজেদের ঐতিহ্য, শিল্প ও  সংস্কৃতিকে আঁকড়ে আছেন ধিমালরা। ধিমালদের দুর্গাপুজোয় প্রকৃতিই বতাদের উপাসক। নিজেদের তৈরি বাদ্যযন্ত্র যেমন চোঙ্গা মিরদং, পাশিংকোদোতারা, পাশিংকোধোল, তুনজাই, গুমরা, মুচুঙ্গা, তুমনা বাজিয়ে পুজো চলে চারদিন। তার সঙ্গে ট্রাডিশনাল পোশাকে জনজাতির ছেলেমেয়েরা গানের সঙ্গে নাচের ছন্দে তালে মেতে ওঠে।এলাকায় বেশিরভাগই রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।

গত প্রায় ২০ বছর ধরে গ্রামের অন্যান্য জনজাতির অনুরোধে একই মন্দিরে চলছে দুর্গার পুজো। তাদের অনুরোধ ধিমালদের পুজো একই সঙ্গে হয়। নিয়ম সব একই। ধিমালদের দান্তাওরাং ও দান্তাবেরাং শিলার পাশে মায়ের মূর্তিও স্থাপন করা হয়। এইটুকুই পরিবর্তন হয়েছে গত কুড়ি বছরে। সারা বছর ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি বা দৈনন্দিক জীবনের দুঃখ-কষ্ট প্রেম প্রার্থনার মানে বহন করে গান ও নাচে। ধিমালদের কথায় যা দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। যাতে সারা বছর দেবী সেই অনুভূতিগুলির খেয়াল রাখেন।

Free Access

Related Articles