
The Truth of Bengal: সামান্য পুঁজিতেই ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের মহিলারা। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অধীনে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। মাশরুমের মতো স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যুগলবন্দি খুব কম খাবারেই মেলে। বাঙালির রান্নাঘরেও সেরা পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই নিরামিষ খাবার।এই চাহিদার কথা বুঝেই রাজ্যের মহিলারা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আর্থিক ও সামাজিক বদলের স্বপ্ন দেখছেন। ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে তাঁরা এই বিকল্প চাষের মাধ্যমে পরিবার তথা নিজের স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে পাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। মাশরুম চাষের জন্য কোনো উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। ঘরের পাশের অব্যবহৃত জায়গায় ও বাড়ির মধ্যে মাশরুম উৎপাদন করা যায় সহজেই। বেকার যুবক-যুবতী ও গৃহবধূরা সংসারের সমস্ত কাজের পাশাপাশি বাড়ির মধ্যে মাশরুম চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন।হাল ফেরাচ্ছেন সংসারের। খুব দ্রুত মাসরুম চাষ করে মনের মতো রোজগার করতে পারছেন উদ্যোগীরা। বর্তমানে বাজারে ১৩০ থেকে ১ ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রিবাটা হচ্ছে এই মাসরুম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাজারে যে মাশরুম পাওয়া যায়, তা সব সময়ে ঠিক ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না। তাই রান্নার আগে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। সাধারণতঃ মাশরুমে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। বিশেষ করে মাশরুমে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে এবং হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে বিটা গ্লুকান। তাই মানুষের স্বাস্থ্য থেকে আর্থিক স্বাস্থ্যের হাল ফেরানো সবেতেই এই মাসরুম চাষ,উত্পাদনও বিক্রি যে বড় সুযোগ তৈরি করছে তা বলাই যায়।