রাজ্যের খবর

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট, কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে-র কাজের অগ্রগতি দেখলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়

Kalyani ExpressWay

The Truth of bengal: জোরকদমে কাজ চলছে কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে-র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রজেক্ট এই এক্সপ্রেস ওয়ে। চলছে ৬ লেন রাস্তা তৈরির কাজ। বেলঘরিয়ার নিমতা থেকে কাঁচড়াপাড়ার কাঁপা মোড় পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের পথে। ২০২৪ সালের মে মাসে সেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, তা দেখতে বুধবার পথে নামলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ তিনি পথে নামেন। সঙ্গে ছিলেন পূর্ত সচিব অন্তরা আচার্য সহ পূর্ত দফতরের একাধিক আধিকারিক। ছিলেন হাইওয়ে অথরিটির আধিকারিকরাও।

 

বুধবার সকালে নিমতা থেকে পরিদর্শন শুরু করেন পূর্তমন্ত্রী। দীর্ঘ পথে তাঁর পরিদর্শন শেষ হয় কাঁচড়াপাড়ায়। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে তিনি কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। নির্মাণ কাজের জন তৈরি অস্থায়ী অফিসগুলি ঘুরে দেখেন। কথা বলেন নির্মাণ আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে। দেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। নিমতা এলাকায় জমি সমস্যা থাকায় কাজের অগ্রগতি কিছুটা বাধা পাচ্ছে। তবে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে বলে।

কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে পরিদর্শনের পাশাপাশি এদিন পূর্তমন্ত্রী ঘুরে দেখেন কল্যাণীতে তৈরি হতে চলা দ্বিতীয় ঈশ্বরগুপ্ত সেতুর কাজও। বয়সের কারণে আগের সেতুটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। নতুন এই এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরি হয়ে গেলে এই রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়বে। তখন প্রয়োজন হয়ে পড়বে নতুন সেতু। সেই কথা মাথায় রেখে গঙ্গার ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে নয়া সেতু। সেই সেতুর কাজ কতদূর এগিয়েছে, এদিন সেই সম্পর্কেও খোঁজ নেন মন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রজেক্ট এই এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরিতে সমস্ত খরচ জোগাচ্ছে রাজ্য সরকার। ৩৫ কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকা। যান চলাচল মসৃণ করতে গোটা পথে গড়ে তোলা হচ্ছে ২২টি ফ্লাইওভার।

আন্তর্জাতিক মানের এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আমুল বদলে যাবে। বম্বে রোড, দিল্লি রোড ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক তখন আরও কাছাকাছি চলে আসবে। দিল্লি বা বম্বে রোড ধরে রাজ্যে আসা গাড়ি ও ট্রাক কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে ব্যবহার করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। তাতে সময় বাঁচবে অনেকটাই। শুধু তাই নয়, এই এলাকার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মসৃণ হয়ে যাবে। নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে চোখে নিমেষে পৌঁছে যাওয়া যাবে এয়ারপোর্ট। তা ছাড়া এই এক্সপ্রেস ওয়ের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্র। রাস্তার দুই ধারে গড়ে উঠেছে প্রচুর হোটেল, স্কুল সহ বহু হাসপাতাল।

Related Articles