ভ্রমণ

আর শুধু কালিম্পং নয়, ঘুরে আসুন রূপেভরা রঙ্গো

kalimpong Rango Tourisam

The Truth of Bengal: ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘হীরক রাজার দেশে’ বিখ্যাত বাংলা চলচিত্রে এই গানের সাথে সকলেরই পরিচয় আছে । তবে এই রঙ্গ সেই রঙ্গ না। এটা কালিম্পংয়ের রঙ্গো। বর্ষার জল পেয়ে যৌবন ফিরে পায় পাহাড়ি ঝরনা আর নদী। তিস্তা-তোর্ষার মতো আগ্রাসী রূপ নেয়না তারা ঠিকই তবে তারা এই সময় যেন প্রাণ ফিরে পায়। এমনই ছোট্ট পাহাড়ি নদী রঙ্গো। আর এই নদীকে কেন্দ্র করেই রয়েছে ছোট্ট গ্রাম রঙ্গো। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম রঙ্গো।যাঁরা একটু অফবিট লোকেশনে যেতে চাইছেন তাঁদের জন্য সেরা ঠিকানা এই রঙ্গো।

খুব বেশি উঁচুতে নয় আবার একেবারে সমতলও নয়।ঝালং, বিন্দু থেকে কিছুটা ওপরে এই রঙ্গো। কাছেই রয়েছে একটি কাঠের ব্রিজ। পাহাড়ি ঝর্নার উপর  এই ব্রিজ । যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আদর্শ জায়গা এই রঙ্গো। নির্জন, নিরিবিলি ছোট্ট পাহাড়ি রঙ্গো  গ্রামে গেলে আপনি দেখতে পাবেন  পাহাড়, ঝরনা সহ  জলঢাকা নদী । এটা পশ্চিম ডুয়ার্সের অংশবিশেষ। এই গ্রাম থেকে  কাছেই রয়েছে রিশপ, লাভা, ।লাভা মনাস্ট্রির উপর থেকে পাহাড় যেন মনে হয় হাতের কাছেই। এখান থেকে সিকিম পাহাড়ে একাংশওকেও দেখা যায়। এককথায় অপরূপ সুন্দরী পাহাড়ি গ্রাম। রঙ্গ  থেকে ফেরার পথে চাপরামারি অভয়ারন্য ঘুরে যেতে পারেন।

তবে ভাবছেন তো যাবেন কিভাবে? হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান  এনজেপি । আর সেখান থেকেই  যে কোন গাড়ি ভাড়া করে  যেতে পারবেন পাহাড়ি গ্রাম রঙ্গ তে।এছাড়া নিউ মাল জংশন থেকে রঙ্গো মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে। এখন থেকেও গাড়ি পাওয়া যায়। সময় লাগে ৩ ঘণ্টা মতো। ব্যক্তিগত গাড়িতেও আজকাল যান অনেকেই। সেক্ষেত্রে চালসাগামী রাস্তার ধরে কিছুদূর যাওয়ার পর ঝালংয়ের দিকে গৈরিবাস পেরিয়ে উপরের পাহাড়ি রাস্তা ধরে উঠে কিছুটা গেলেই রঙ্গো গ্রামে পৌঁছে যাবেন । বেশ কয়েকটি হোমস্টে আছে তাই রাত্রিবাসের জন্য চিন্তার কোন কারন নেই।সামনেই পুজো আর তার আগে স্বল্প দিনে পাহাড়ি গ্রাম রঙ্গ থেকে ঘুরে আসলে মন্দ হয়না বলুন! ঘিঞ্জি দার্জিলিংয়ে না গিয়ে পরিবার নিয়ে সবুজ দেখুন, নির্জনতাকে উপভোগ করুন রঙ্গো থেকে।

Related Articles