ভ্রমণ

পশ্চিমবঙ্গেও দেখতে পাবেন জাপানি পিস প্যাগোডা, কথায় আছে জানেন?

Japanese Peace Pagoda can also be seen in West Bengal

The Truth of Bengal: বাঙ্গালীদের ভ্রমণে যাওয়া মানেই দিঘা পুরী আর দার্জিলিং। দার্জিলিং কে বলা হয় পাহাড়ের রানি। এই দার্জিলিং থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যেতে পারবেন পিস প্যাগোডায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমগ্র বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিশ্বের নানা প্রান্তে তৈরি করা হয় পিস প্যাগোডা। দার্জিলিং এও এইরকম এক শান্তির প্যাগোডা রয়েছে। তাই দেরি না করে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন প্রাচীন এই জাপানিস মন্দির থেকে। বাংলায় পাহাড়ের রানি বলা হয় দার্জিলিংকে। বাঙালি পর্যটকদের প্রিয় ডেসটিনেশন দার্জিলিং। পাহাড়, ঝর্না, প্রকৃতির নানা শোভা উপভোগ করার পাশাপাশি এখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন জাপানি পিস প্যাগোডা।

ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রথমে দার্জিলিং শহর এবং দার্জিলিং শহর থেকে গাড়ি করে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে প্যাগোডা পৌঁছে যাওয়া যায়। এই প্যাগোডা নির্মাণ করেছিলেন জাপানের বৌদ্ধ সন্যাসি নিচিদাতসু ফুজি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমগ্র বিশ্বে শান্তি ও মানবতার বার্তা ছড়াতে তিনি শান্তির প্যাগোডা গড়ে তোলেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। ১৯৯২ সালে দার্জিলিং এ প্যাগোডা উদ্বোধন করা হয়। এখানে গিয়ে দেখবেন প্যাগোডার সঙ্গে রয়েছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। এই বৌদ্ধ মন্দিরেই দেখতে পাবেন নিচিদাতসু ফুজির ছবি। বুদ্ধ মূর্তিও রয়েছে এই বৌদ্ধ মন্দিরে। এক পা দু পা করে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠেই পেয়ে যাবেন বিশাল প্রার্থনা ঘর।

প্রার্থনা চলা কালীন এখানে বাজানো হয় বড় বড় ড্রাম। যে ড্রামের আওয়াজে আপনার মন প্রাণ ব্যাকুল হয়ে উঠবে। এই প্রার্থনা ঘরে প্রার্থনা চলে ভোর সাড়ে ৪ টে থেকে ৬ টা এবং বিকেল সাড়ে ৪ টে থেকে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত। প্যাগোডা তে গেলে আপনারা দেখবেন মন্দিরের গায়ে অপূর্ব সব কাঠের কারুকার্য। এই নিখুঁত কারুকার্য দেখে আপনার মনে হবে কোন প্রাচীন গাথা শোনাতে চাইছে মন্দিরের দেওয়ালগুলি। বড় বুদ্ধ দর্শনের পাশাপাশি দেখতে পাবেন শায়িত বুদ্ধ, দণ্ডায়মান বুদ্ধ। গৌতম বুদ্ধের চার অবতারের দেখাও পাবেন এখানে। এই প্যাগোডার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে আপনি দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপরূপ শোভা। ভাগ্য ভালো থাকলে দূরের শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘাও এই প্যাগোডা থেকে আপনি অনায়াসে দেখতে পাবেন।

Related Articles