
The Truth of Bengal: সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেক্ষেত্রকে মাথায় রেখেই রাজ্যের জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু মেনে নিয়েছে রাজ্যসরকার। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মনে করেন। দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে একাধিক নেতিবাচক দিক রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির মূল বিষয়টাই মার্কিন। একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সভ্য দেশের উদাহরণ নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটি দেশের পরিকাঠামো অনুসারে প্রয়োগ করতে হবে।
যেভাবে ক্লাসগুলিকে ভাঙা হয়েছে তা নেতিবাচক। পাশাপাশি চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন কোর্স করতে বাধ্য করা হচ্ছে। মাতৃভাষাকে অগ্রাধিকার না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হিন্দি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শিক্ষমন্ত্রীর মত, শিক্ষা বরাবরই কেন্দ্র ওরাজ্যের যুগ্মতালিকায় থেকেছে। কিন্তু নয়া শিক্ষানীতির মাধ্যমে কেন্দ্র কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর দাবি, রাজ্যের তরফে নতুন শিক্ষানীতি তৈরি হয়েছে। মন্ত্রীসভায় পাস হয়েছে, আগামী দিনে বিধানসভাতেও পাস করানো হবে। এবং জাতীয়শিক্ষানীতি যে বিষয়গুলিতে আপত্তি রয়েছে, তা কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যও তাদের বক্তব্য জানিয়েছে।