
The Truth of Bengal: হিন্দুত্বেই ভরসা রাখছে বিজেপি। মুম্বইয়ের ভার্সোভা-বান্দ্রা ব্রিজের নাম বদলে হল ‘বীর সাভারকর সেতু’। ক’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের পাঠক্রমে ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের তালিকায় মহাত্মা গান্ধী, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের পাশপাশি অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সাভারকর। অথচো তালিকায় ঠাই হয়নি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর। হিন্দুত্বে ভরসা রাখছে বিজেপি আর দেশনেতা হিসেবে গুরুত্ব বাড়ছে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের। ক’দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের পাঠক্রমে ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের তালিকায় মহাত্মা গান্ধী, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের পাশপাশি অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সাভারকর।
অন্যদিকে বাদ পড়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এবার হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতার নামে হল মহারাষ্ট্র তথা মুম্বই শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ম সেতু। ভার্সোভা-বান্দ্রা সি লিঙ্কের নাম হল ‘বীর সাভারকর সেতু’। পাশাপাশি মুম্বই ট্রান্স হার্বার লিঙ্ক সেতুটি হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে। মাস খানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে জানিয়েছিলেন, সাভারকরের নামে হবে মুম্বইয়ের একটি সেতু। এদিন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুধীর মুনগান্টিওয়ার ‘বীর সাভারকর সেতু’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। সুধীর বলেন, “নাম পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি ওঠা উচিত নয়, কারণ দেশের দুই মহান ব্যক্তিত্বের নামঙ্কিত হয়েছে সেতু দু’টি।” বিরোধীদের বক্তব্য, সাভারকরের নামে সেতুর নাম হওয়ায় আপত্তি উঠবে আঁচ করেই এই মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী মশাই।
উল্লেখ্য, ক’দিন আগে গোরক্ষপুরের গীতা প্রেসকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ দেওয়ায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কটাক্ষ করেছিলেন, “গীতা প্রেসকে পুরস্কার দেওয়া সাভারকর বা গডসেকে পুরস্কার দেওয়ার সমতুল্য।” ১৯১০ সালে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দায়ে ৫০ বছর কারাদাণ্ডের সাজা হয় সাভারকরের। যদিও মাত্র ১৩ বছর পরেই জেলমুক্তি হন তিনি। ৩৭ বছর শাস্তি কমা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মনে করা হয়, গোরা সরকার বিরোধী যাবতীয় কার্যকলাপ বন্ধের মুচলেকা দিয়েই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সাভারকর। পরবর্তিকালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে উত্থান হয় তাঁর। অন্যদিকে অটল বিহারী বাজপেয়ী ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল অবধি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের অংশ হলেও উদার তথা প্রগতিশীল নেতা ও প্রশাসক হিসেবেই তাঁকে চেনে গোটা ভারত।