কমছে মাটির জিনিসের চাহিদা! পেশা-সঙ্কটে মৃৎশিল্পীরা
Pottery Artists facing many problem

The Truth of Bengal: এখন আধুনিক যুগ। আর সেই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বদল এসেছে অনেক কিছুতে। বাদ নেই মানুষের জীবনযাত্রাও। ব্যবহারিক জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ব্যবহার্য জিনিস। মাটির জিনিসের ব্যবহার এখন অনেক কমেছে। বদলে প্লাস্টিক ও কাগজের জিনিসের ব্যবহার বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মৃৎশিল্পীদের পেশায় কোপ পড়েছে। চাহিদা কমেছে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের। তাই এখন আর ব্যস্ততা নেই কুমোর পাড়ায়। মাটির ভাড়ে চা পানের রেওয়াজ ছিল একসময়। এখন সেই জায়গা দখল করেছে কাগজের কাপ। বিজ্ঞান বলছে, মাটির ভাড়ে চা পান করলে শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।
প্লাস্টিকের কাপে চা বা অন্য কোনও পানীয় পান করলে শরীরে একাধিক ক্ষতিকারক রাসায়ানিক ঢোকে। বাজারে প্লাস্টিক বা কাগজের ব্যবহার বেশি থাকলেও মানুষের পছন্দ এখনও মাটির ভাড়। প্রশাসন বারবার নির্দেশিকা জারি করছে প্লাস্টিকের কাপ বা গ্লাস ব্যবহার করা যাবে না। চলে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বন্ধের সমর্থনে প্রচার ও নানান কর্মসূচি। অথচ এখনও সম্পূর্ণভাবে তা কার্যকর হয়নি। পরিবেশের ক্ষেত্রেও দারুণ ক্ষতিকর প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করছে মানুষ। ফলে দিনদিন চাহিদা কমছে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের। এখন আর ব্যস্ততা নেই কুমোর পাড়ায়। তবে প্লাস্টিকের জিনিস বন্ধ হলে চাহিদা বাড়বে মাটির জিনিসের। এখন এই আশায় বুক বাঁধছেন মাটির ভাড় তৈরির কাগিগররা।
সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতা গ্রাস করছে শহর থেকে গ্রামকে। সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে বহু পেশা। মৃৎশিল্পীদের পেশাও কি হারিয়ে যাবে? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে কুমোর পাড়ার অলিতে গলিতে। মাটির জিনিসের দাম বাড়ছে। তাই চাহিদা কমছে। পরিবর্তে সেই জায়গা করে নিচ্ছে প্লাস্টিক ও কাগজ। তবে সাধারণ মানুষ চায়, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে মাটির জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়ানো হোক। তা হলে পরিবেশ বাঁচবে। সেই সঙ্গে মৃৎশিল্পীদের পেশাও বিলুপ্তের দিকে এগিয়ে যাবে না।