বিদ্যুৎঅপচয়ে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, অপচয় রোধে গাইড লাইন বিদ্যুৎ দফতরের
Guidelines for prevention of wastage of electricity department

The Truth of Bengal: অকারণে জ্বলে আলো, চলে পাখা। প্রয়োজন না থাকলেও চালানো থাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। এমন অপচয়ে বেড়ে চলে বিদ্যুৎ বিল। যার বোঝা বইতে হয় রাজ্য সরকারকে। এই অপচয়ে রাশ টানতে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে কমানো যাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার– মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এই বিষয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর জানিয়ে দিল কী কী করতে হবে।
বিভিন্ন সরকারি অফিসে অকারণে আলো-পাখা চালু রাখা হয়। প্রয়োজন না থাকলেও চালিয়ে রাখা হয় শীতাতপ যন্ত্র। দিনের পর দিনে এমন চলে এলেও এটা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে খুব একটা হেলদোল দেখা যায় না। অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় করাটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের পর দিন এইভাবে বিদ্যুৎ অপচয়ে রাজ্য সরকারের মোটা টাকা ক্ষতি হয় চলেছে। সেই অভ্যাসে এবার রাশ টানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসের ১১ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নতে যে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানে বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছিলেন। অযথা বিদ্যুৎ অপচয় যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর দেখা যায়, রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নে অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহারে রাশ টানা হয়েছে। আগে দেখা যেত বিভিন্ন ফ্লোরের লবিগুলিতেও সব আলো জ্বালিয়ে রাখা হতো। এখন প্রয়োজনীয় কিছু লাইট ছাড়া বাকি প্রায় সব লাইটই বন্ধ রাখা হচ্ছে। কী ভাবে কমানো যাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার, এই বিষয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর সেই দিশা দিল। জানানো হয়েছে সরকারি দফতরে কী কী করতে হবে।
অফিসে যদি দুটো এসি থাকে তা হলে একটি চালাতে হবে
অফিস ঘরে লাইট ৫০ শতাংশ জ্বালাতে হবে
প্রয়োজন ছাড়া লিফট বন্ধ রাখতে হবে
এমার্জেন্সি লাইট ছাড়া করিডরের অন্য লাইট প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখতে হবে
সোলার সিস্টেমকে সঠিক ভাবে ব্যবহারের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে
অযথা কম্পিউটার, ফ্যান-সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে
কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে নিজের চূড়ান্ত ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সরকারি অফিসে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার হয়। একটু সচেতন থাকলে কমানো যায় বিদ্যুৎ অপচয়। তাতে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হবে অনেক টাকা। কারণ বিদ্যুৎ বিল বাবদ বিভিন্ন দফতরকে মোটা টাকা দিতে হয়। সেই অনর্থক খরচে রাশ টানার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বিভিন্ন দফতরকে গাইড লাইন দিল বিদ্যুৎ দফতর।