
The Truth of Bengal: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে রাজ্যের কোটা আছে ৬০০০। বাংলার সেই পদে ভাগ বসাচ্ছে অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা। জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জোগাড় করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য একাধিক রাজ্যের চাকরির প্রার্থীরা বাংলার নির্ধারিত চাকরিতে ভাগ বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে আসার পর প্রতিবাদে সরব হয়েছে ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠন। জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। বাংলা পক্ষের দাবি, বাংলার চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করে জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিয়ে ভিনরাজ্যের প্রার্থীরা সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএ-সহ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর চাকরি দখল করে নিচ্ছেন।
বাংলার জন্য নির্ধারিত যে ৬০০০ পদ আছে, সেই পদে চাকরি পেতে হলে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হয়। তার জন্য চাকরি প্রার্থীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়। আর ভিনরাজ্যের চাকরি প্রার্থীরা এই রাজ্যে এসে জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বের করে সেই চাকরি হাতিয়ে নিচ্ছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ প্রশ্ন তুলেছে, যদি ভিন রাজ্যের প্রার্থীরা বাংলার চাকরিতে ভাগ বসান তা হলে এই রাজ্যের ভূমিপুত্ররা যাবেন কোথায়? এর বিহিত হওয়ার দাবি তুলেছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষের দাবি, বাংলার নির্ধারিত চাকরি বাংলায় থাকুক।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর লিখিত পরীক্ষা আগেই হয়ে গিয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা যাচাইও হয়ে গিয়েছে। এবার বাকি আছে মেডিক্যাল পরীক্ষা। এখন সেই পরীক্ষা চলছে কল্যাণী, দুর্গাপুর, মধ্যমগ্রাম, সল্টলেক, সেক্টর ফাইভের বিএসএফ ও সিআরপিএফ-এর বিভিন্ন ক্যাম্পে। সেখানেই জাল ডোমিসাঁইল সার্টিফিকেট দাখিল করার বিষয়টি সামনে আসছে। রাজ্যে অনেকগুলি জাল ডোমিসাইল এবং জাল কাস্ট সার্টিফিকেটের চক্র কাজ করছে৷ সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। বাংলার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বৈধ ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পেতে হলে অন্তত শেষ দশ বছর পশ্চিমবঙ্গে থাকতে হবে। কিন্তু বিহার, ইউপি, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি রাজ্যের যুবকরা সেখান থেকে এসে ভুয়ো তথ্য দিয়ে জাল ডোমিসাইল সার্টিফিকেট এবং কাস্ট সার্টিফিকেট বের করছেন। এই ঘটনা আর চলতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পথে নেমেছে বাংলা পক্ষ।