
The Truth of Bengal: গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু প্রজাতির প্রাণী নিয়মিতভাবে খুব কম ঘুমায়। আফ্রিকান বুশ প্রজাতির হাতি দিনে গড়ে ২ ঘণ্টা ঘুমায় এবং বেশির ভাগ সময় দাঁড়িয়ে ঘুমায় তারা। কখনো কখনো ঘুম ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টা কাটায় এই প্রজাতির হাতি। আবার কিছু প্রজাতির প্রাণী ও পতঙ্গের ঘুমে লিঙ্গগত পার্থক্যও আছে। যেমন মেল ফ্রুট প্রজাতির মাছির দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়। আর এই প্রজাতির নারী মাছিরা ৪ ঘণ্টা ঘুমায়। এমনকি ১৫ মিনিটেরও কম ঘুমে বেঁচে থাকতে পারে।
কিন্তু জানেন কি, চিনস্ট্র্যাপ প্রজাতির পেঙ্গুইন রাতে এক দফায় মাত্র ৪ সেকেন্ড করেই ঘুমিয়ে নেয়। আর এক দিনে এ রকম করে প্রায় ১০ হাজারবার ঘুমায় তারা। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসছে। গবেষকেরা দেখেছেন, অ্যান্টার্কটিকার কিং জর্জ দ্বীপের চিনস্ট্র্যাপ পেঙ্গুইন দিনে ১০ হাজারবারেরও বেশি সময় ঘুমিয়ে নেয়। এতে তারা তাদের বাসার দিকেও অবিচ্ছিন্ন নজর রাখতে পারে। বাসায় থাকা ডিম ও ছানাদের শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এই পাখি দিনে মোট ১১ ঘণ্টা ঝিমিয়ে নেয়, কখনো নিরবচ্ছিন্ন ঘুমায় না।
চিনস্ট্র্যাপ পেঙ্গুইন সাধারণত সাউথ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জ, অ্যান্টার্কটিকা, সাউথ ওর্কনিস দ্বীপপুঞ্জ, সাউথ সেথল্যান্ড, সাউথ জর্জিয়া, বৌভেট দ্বীপপুঞ্জ, ব্যালিনি দ্বীপপুঞ্জে দেখা যায়।১৯৮০-এর দশকে পেঙ্গুইনের ঘুম পর্যবেক্ষণ করেছিলেন গবেষকেরা। সে সময় পেঙ্গুইন ধরে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। গবেষকেরা কিছু সময়ের জন্য পেঙ্গুইনদের ঝিমানোর কথা জানিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, সারা দিন ধরেই পেঙ্গুইনরা এভাবে ঝিমায়। কখনো গভীর ঘুমে ঢলে পড়ে না।




