“৪৫ দিন ঘুমোইনি”! ফের কাজের চাপে আত্মহত্যা বেসরকারি কর্মচারীর
work pressure threat of salary deduction salesman dies by suicide

Truth Of Bengal : কাজের চাপ দিন দিন যেন বেড়েই চলে। সে সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি। সব ক্ষেত্রেই সংস্থার কর্মীরা কাজের চাপে হাঁপিয়ে ওঠেন। গত মাসেই ‘কাজের চাপে’ পুণের বহুজাতিক সংস্থার এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপর মাস ঘুরতে নাবঘুরতেই ফের একই ঘটনার পুনরাৃত্তি ঘটল। ফের কাজের চাপেই আত্মহত্যা করলেন উত্তরপ্রদেশের যুবক। আত্মহত্যার আগে পরিবারের উদ্দেশ্যে লিখে গেলেন সুইসাইড নোটও।
বাজাজ ফিন্যান্সে এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। গত দু’মাস ধরেই নাকি বাজাজ ফিন্যান্সে এরিয়া এর উর্ধ্বতন কর্মচারীরা তাঁকে ‘টার্গেট’ পূরণের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। বেতন কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল তাকে। অবশেষে কাজের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি।
সোমবার সকালে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে অন্য ঘরে আটকে রেখে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। এরপর তার ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর পর পাঁচ পাতার একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘‘৪৫ দিন ঠিক করে ঘুমোইনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আর পারলাম না। আসি।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক বিনোদ কুমার গৌতম বলেছেন, ‘‘সুইসাইড নোটে বলা হয়েছে, টার্গেট পূরণের জন্য তাঁকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’