দেশ

দিল্লিতে কম্পনের মাত্রা ৪ হলেও কেন এত তীব্র অনুভূত হলো? কি মত বিশেষজ্ঞদের

Why was the tremor felt so strongly in Delhi even though it was magnitude 4? What do experts think

Truth Of Bengal: সোমবার ভোরে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৪.০ থাকলেও, এটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র মনে হয়েছে। দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। অনেকেই বলছেন, অতীতের তুলনায় এবারের ভূমিকম্প অনেক বেশি তীব্র লেগেছে।

ভূমিকম্প কেন এত তীব্র অনুভূত হলো?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের তীব্রতার পিছনে মূল কারণ ছিল এর উৎপত্তিস্থল ও গভীরতা। সাধারণত দিল্লিতে যে ভূকম্পন অনুভূত হয়, তার উৎপত্তি হয় হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর বা অন্যান্য উত্তর ভারতীয় অঞ্চলে। তবে, এবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দিল্লির ধৌলা কুয়ানের ঝিল পার্ক এলাকা, যা শহরের মধ্যেই অবস্থিত।

এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম গভীরতার ভূমিকম্প বেশি তীব্র অনুভূত হয় এবং বেশি ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। আজকের ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাত্র ৫ কিলোমিটার, যা কম গভীরতার ভূমিকম্পের মধ্যে পড়ে। ফলে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে বিকট শব্দও শুনেছেন। পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা নরেশ কুমার বলেন, “আমি এর আগে কখনো এত শক্তিশালী কম্পন অনুভব করিনি।”

নয়ডার সেক্টর ২০-এর ই-ব্লকের এক মহিলা পিটিআইকে বলেন, “আমরা পার্কে হাঁটছিলাম, তাই প্রথমে বুঝতে পারিনি। তবে, কম্পন খুব শক্তিশালী ছিল। মানুষ বাইরে চলে আসছিল।”

দিল্লিতে ঘন ঘন ভূমিকম্প কেন হয়?

দিল্লি-এনসিআর ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লি হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত, যা ভূকম্পনপ্রবণ অঞ্চল। এছাড়াও, দিল্লি-হরিদ্বার রিজ, মহেন্দ্রগড়-দেহরাদুন ফল্ট, মোরাদাবাদ ফল্ট, সোহনা ফল্ট, ইয়ামুনা রিভার লাইনামেন্টসহ বেশ কয়েকটি দুর্বল ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল দিল্লির কাছে অবস্থিত, যা ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।

উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী মোদি

ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেল-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি এবং নিরাপত্তাবিধি মেনে চলতে বলছি। পরিস্থিতির ওপর কর্তৃপক্ষ নিবিড় নজর রাখছে।”

ভূমিকম্পের সময়কার বিভিন্ন দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভূমিকম্পের পর এখনও কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন।

Related Articles