দেশ

পুরনো সংসদ ভবনের নামকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি সেই নাম?

New Name of old Sansad Bhawan

The Truth of Bengal: স্বাধীনতার ৭৬ বছর পার করার পর এক নয়া অধ্যায় গড়ার পথে ভারত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশে প্রধান পীঠস্থান হল সংসদ ভবন। এই ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের নানা চড়াই, উতরাইয়ের ইতিহাস। মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা মতো দুই কক্ষকেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নয়া সংসদ ভবনে।

পুরনো ভবনটি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তৈরি করেছিল ইংরেজরাই। তবু এই ভবনের সঙ্গে আষ্ঠে পৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে বর্তমান ভারতের স্তম্ভ। এই ভবনের গুরুত্বকে মাথায় রেখেই পুরনো সংসদ ভবনের নতুন নামকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘সংবিধান ভবন’হল পুরনো সংসদ ভবনের নাম। এই পদক্ষেপ আগামী প্রজন্মের কাছে এক উপহার হিসেবেই থাকবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার পুরনো সংসদ ভবন থেকে শেষবার বক্তব্য রাখার প্রধানমন্ত্রী নমো বলেছেন, ‘এই সদনের গৌরব যেন কখনোই কমে না যায়।’ আর সেই কারণেই এই পুরনো সংসদ ভবনকে ‘সংবিধান সদন’ হিসেবে নামাঙ্কিত করতে চান তিনি। নমোর কথায়, এই ভবনে বিভিন্ন সময়ে বহু জ্ঞানী-গুণী মানুষজন বসেছেন। এই পুরনো সংসদ ভবনের নাম ‘সংবিধান সদন’ করা হলে, সেই জ্ঞানী-গুণী মানুষদের অবদানের কথাও স্মরণ করা হবে। আর এই পদক্ষেপ দেশের আগামী প্রজন্মের কাছে এক উপহারের মতো হবে বলেই মনে করছেন মোদী।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি হলেও, ভারতীয় গণতন্ত্রে এই সংসদ ভবনের গুরুত্ব অপরিসীম সে কথা মাথায় রেখেই একটি সংগ্রহশালায় পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক স্যর এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বার্ট বেকার পুরনো সংসদ ভবনের নকশা তৈরি করেছিলেন। ১৯২৭ সালে তৈরি হয় এই ভবন। স্বাধীনতার আগে থেকেই অনেক ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রের পীঠস্থান। এই ভবনকে সংগ্রহশালায় পরিণত করা হবে কিনা, তা নিয়ে, সরকারিভাবে এখনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এই ভবনকে সংরক্ষণ করা হবে। সংসদের অন্যান্য কাজকর্মের জন্যও এটিকে ব্যবহার করা হতে পারে। আবার একটি অংশকে সংগ্রহশালায় পরিণত করা হতে পারে।

Related Articles