৮০ বছরে প্রথমবার কলের জল পেল গ্রামের মানুষজন, খুশির হাওয়া পার্বত্য এলাকায়
Village people got tap water for the first time in 80 years

The Truth of Bengal: তীব্র গরমে নাজেহাল দেশবাসী। তবে এই প্রখর তাপেও খুশির হাওয়া উত্তরপ্রেদেশের মির্জাপুর জেলার পার্বত্য গ্রাম লাহুরিয়া দহ। দীর্ঘ জলকষ্টের পর আবশেষে স্বস্তি। গ্রামের ৮০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার সরকারি উদ্যোগে নলবাহিত জল পেল সে গ্রামের মানুষজন। বর্তমানে দহনজ্বালায় জ্বলছে দেশবাসী। আর এই নাজেহাল করা গরমেও খুশির হাওয়া বইছে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার পার্বত্য গ্রাম লাহুরিয়া দহে। ৮০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার জলযন্ত্রনা মুক্তি পেতে চেলেছে সেখানকার মানুষজন। কারণে এবার সরকারী উদ্যোগে সেখানে পৌঁছল নলবাহিত জল।
স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের প্রায় ১২০০ মানুষ এই গরমেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। ৮০ বছর ধরে এই গ্রামে ছিল না কোনওরকম জলের সংস্থান। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে এখানকার মানুষজন বিনা জলে বেঁচে রয়েছে কীভাবে? সেখানকার মানুষজনের কথায়, স্বাধানতার সময়কাল থেকে শুরু করে বর্থমান সময় পর্যন্ত জলের জন্য তারা নির্ভরশীল পার্শ্ববর্তী গ্রামে উপস্থিত একটি ঝর্ণার উপর। গরমকালে সেই ঝর্ণাও যেত শুকিয়ে। তখন কিনে জল খাওয়াই তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়।
এই সমস্যা মেটানোর জন্য একাধিকবার প্রশাশনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। সরকার জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হলেও তা সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি কখনও। তবে এবার জেলাশাসক দিব্যা মিত্তালের উদ্যোগেই ওই গ্রামে পাইপ লাইনের সাহায্যে প্রথমবার জল সরবরাহ শুরু হল। তাতেই খুশির জোয়ার বইছে ওই গ্রামে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলাশাসকের উদ্যোগে এই প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। উঁচু পাহাড়ি গ্রামে কীভাবে জল পৌঁছন যেতে পারে তা ঠিক করতে ভূ-পদার্থবিদ থেকে শুরু করে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করে জল জীবন মিশন, নমামি গঙ্গে ও উত্তরপ্রদেশ জল নিগমের সরকারী আধিকারিকরা। এছাড়াও ওই গ্রামে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে বাঁধ ও পুকুর খনন করেছে সরকার।