দেশ

CAA এর স্থগিতাদেশ এর প্রথম শুনানি মঙ্গলবার,

The first hearing on the CAA suspension is on Tuesday.

The Truth Of Bengal: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে গত ১১ই মার্চ দেশ জুরে সিএএ কার্যকর করা হয়। সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন গোটা দেশে কার্যকর করা হলে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাদের একাধিক মন্তব্য দিতে থাকেন। একশো চল্লিশ কোটি (প্রায়) মানুষের দেশ ভারতবর্ষ। সেখানে এই সিএএ এর কার্যকারিতা যে কতটা ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে তার দুশ্চিন্তায় তৃণমূল, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্যরা মিলে এই আইনের বিপক্ষে প্রশ্ন তুলতে থাকেন প্রথম থেকেই। এবং গত সপ্তাহেই বর্ষীয়াণ রাজনীতিবিদ তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে সিএএ স্থগিতাদেশ এর আবেদন জানান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে। এবং মঙ্গলবার সেই আবেদনের ভিত্তিতেই প্রথম শুনানি হতে চলেছে শীর্ষ আদালতে।

আইনটি স্থগিতাদেশ এর জন্য কেবল কপিল সিব্বল’ই নন, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, AIMIM এর প্রধান নেতৃত্ব আসাউদ্দিন ওয়েইসি সঙ্গে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএএ এর বিপক্ষে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আবেদন এর সঙ্গে প্রায় ২০০টি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে এবং পিটিশনে এও বলা হয়েছে যে, এই সিএএ কার্যত অসংবিধানিক এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বিভেদ তৈরি এবং স্বেচ্ছাচারিতার একটি আইনমাত্র।

বিরোধীরা প্রথম থেকেই মনে করছেন যে, ঠিক ভোটের আগেই CAA কার্যকর করে ভারতীয় জনতা পার্টি কেবল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে। ২০১৯-এ বিলটি আসলেও এত দিন সময় কেন লাগল বিজেপির এটা কার্যকর করতে? প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাহ্ দের তরফ থেকে এর একটাই উত্তর দেওয়া হচ্ছে যে, মাঝে করোনা অতিমারীর জন্য তাদের এই সময়টা লেগেছে। তারা আরও বলেন যে, ২০১৪ এর ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসকল শরণার্থীরা দেশে এসেছে তাদের সকলকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, সুতরাং বারবার সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলা কার্যত অবাস্তব।

এত সব তর্ক-বিতর্কের মাঝে আজ সিএএ এর স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রথম শুনানিতে শেষমেশ শীর্ষ আদালত থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা অবশ্য সময় সাপেক্ষ।

Related Articles