দেশ

পালিয়ে গিয়েও বাঁচবেন না সন্ত্রাসবাদীরা,প্রচারে গিয়ে  আবারও হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

Terrorists will not survive even if they run away, Prime Minister warned again in the campaign

The Truth of Bengal: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টা বেজে গিয়েছে। ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন  দলের  প্রার্থীরা। আসন্ন ভোটকে পাখির চোখ করে দ্বিতীয়বার উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কয়েকদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, প্রতিবেশী দেশে গাঢাকা দিয়েও পার পাবে না সন্ত্রাসবাদীরা। ঘরে ঢুকে মেরে আসবে ভারতীয় সেনারা।এবার  ভোট প্রচারে বেরিয়ে গিয়ে সেই হুঙ্কারই শোনালেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুরনো কৌশলে সুর চড়ান।তিনি  বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গত ১০ বছরে জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে তাদের নিকেশ করেছে। দেশে একটি শক্তিশালী সরকার রয়েছে।

যারজন্য   জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে মেরে আসা সম্ভব হয়েছে  ’। অতীতে বালাকোট অপারেশেনের কৃতিত্ব দাবি করে নরেন্দ্র মোদি উগ্র জাতীয়তাবাদে শান দেন।এমন অভিযোগ বারবার করেছে বিরোধীরা।এবারও চব্বিশে জেতার জন্য সেই অস্ত্র তিনি শান দিচ্ছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।তাই কখনও রামমন্দির কখনও  সাত দশক পর জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা তুলে ধরছেন।এমনকি ধর্মীয় মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিতে    তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন কর কথাও প্রচারের শীর্ষে তুলে আনছেন বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় ৬৫জনের কাছে মহিলা প্রার্থী থাকায় কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।

সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মোদির দাবি,  কেন্দ্রের সরকারই সংসদে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছে এবং সাধারণ শ্রেণির দরিদ্ররাও ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পেয়েছে।’   জঙ্গিদের  কড়া বার্তা দিতে গিয়ে তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন, প্রয়োজনে জঙ্গিদের ডেরায়   ঢুকেই নিকেশ করা হবে।   উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে  কংগ্রেসকেও নিশানা করেন মোদি।বলেন,কংগ্রেস আমলে একটিও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল না ভারতীয় জওয়ানদের। শত্রুদেশের সেনাদের গোলার মুখে ভারতীয় জওয়ানরা আগে নীরবে বলিদান দিত বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরাখণ্ডে ৫টি লোকসভা আসন রয়েছে। সেই আসনে বিজেপির নার্ভের চাপ বেড়েছে।তাই মোদির এই দুবার সেরাজ্যে সফর বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

Related Articles