দেশ

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শাড়ির ‘জিআই’ তকমা নিয়ে লড়াই     

India-Bangladesh

The Truth of Bengal: রূপসী বাংলার শাড়ি টাঙ্গাইল। এই তাঁতের শাড়ির নকশার অভিনবত্ব, হাতে বোনা বুটি, বুননে প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার ও কাপড়ের পাতলা সূক্ষ্মতার জন্য বিখ্যাত। এই শাড়িতে বেশ কিছু স্বতন্ত্রতা রয়েছে, যা শাড়িটিকে অন্যান্য তাঁত শাড়ি থেকে পৃথক শাড়ি হিসাবে তুলে ধরে। এই শাড়ি বুননে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহার করা হয়। ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ি জিআই তকমা পাওয়ার জন্য জেনিভায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড ইন্টিলেকচুয়াল প্রপার্টি অরগানাইজেশনের কাছে আবেদন করেছিল ভারত। ওই আবেদনের ফলে সম্প্রতি স্বত্ত্বাধিকার পেয়েছে ভারত। তবে বাংলাদেশ দাবী করেছে ভারত নয় টাঙ্গাইল শাড়ির প্রকৃত দাবিদার নাকি বাংলাদেশ।

শুধু তাই নয় দেরিতে হলেও এবার বেশ কোমর বেঁধে টাঙ্গাইলের অধিকার নিতে নেমে পড়েছে ঢাকা। কারন হিসেবে বাংলাদেশ জানাচ্ছে বাংলাদেশে রয়েছে টাঙ্গাইলের ভৌগোলিক অবস্থান। সেজন্য ভারতকে দেওয়া ওই জিআই তকমার বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করেছে বাংলাদেশ। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ম অনুসারে এক বা একাধিক দেশ একই স্বত্ত্ব অধিকারী হতে পারে যদি তারা উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ জমা দিয়ে আবেদন করে। এমনকি আগে কোনও দেশ স্বত্ত্বাধিকার পাওয়ার পরে আরেকটি দেশ সেই একই জিআই তকমা পাওয়ার জন্য আবেদন করতেই পারে বলেও জানান তারা।

প্রসঙ্গত, গত মাসে টাঙ্গাইল শাড়িকে এপার বাংলার ভৌগোলিক নিদর্শক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রক অধীনে থাকা পেটেন্ট ডিজাইন এন্ড ট্রেডমার্ক বিভাগের তরফ থেকে সে কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তিস্থল হিসেবে উঠে আসছে পাথরাইল, নলশোধা, ঘারিন্দা-সহ টাঙ্গাইলের এমন ২২ থেকে ২৩টি গ্রামের নাম। এদের একদা বাইশগ্রাম বলা হত। এ সব গ্রাম তাঁতিদের ঠিকানা হিসেবে পরিচিত। সেই তাঁতিদের পদবি ছিল ‘বসাক’। স্বাধীনতার পরে বসাক সম্প্রদায়ের বড় অংশ ভারতে চলে আসে। তাদের বসতি নদিয়ার ফুলিয়া গ্রাম ও পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রী গ্রাম ও সমুদ্রগড়ে। ফলে সেখানেই এই টাঙ্গাইল শাড়ি শিল্পটি পরিচিতি লাভ করে।

Related Articles