দেশ

আজব প্রেম! পৌরসভার লাগানো হোর্ডিংয়ে নির্দেশিকার বদলে বিয়ের প্রস্তাব

Strange love! Marriage proposal instead of guidelines on municipal billboards

The Truth Of Bengal : বিভিন্ন ধরনের মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কেউ হয়তো ভালোবাসার মানুষকে একটা গোলাপ দিয়ে নিজের ভালোবাসার গভীরতা বোঝাতে পারেন কেউ আবার দামি গিফ্ট দিয়ে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন। বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা ভিন্ন। তবে ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পেতে এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটালেন প্রেমিক যা দেখে সকলে। কিন্তু কি এমন করেছিলেন ওই আশিক?

চলছে ডিজিটাল যুগ। তাই ভালোবাসা দেখানোর ধরন কিছুটা ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হোর্ডিং- এ লিখে ভালোবাসা প্রকাশ তা হয়তো একেবারেই বিরল। তবে সম্প্রতি একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, পারফিউমের শহর কনৌজ এলাকায় এক প্রেমিক তার প্রেমিকার ভালোবাসা ফিরে পেতে একটি হোর্ডিং- এ তার ভালোবাসার অনুভূতি গুলো শেয়ার করে লিখেছে, “হামারা পেয়ার দিখাবে কে পেয়ার থোড়ি হ্যায়, খুলুস-এ-দিল হ্যায় কোই ইশতিহার থোড়ি হ্যায়….”।

বিখ্যাত উর্দু কবি জমির উদ্দিন সাজিদ যখন এই উক্তিগুলি লিখেছিলেন তখন হয়তো ভাবেননি তার এই উক্তি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের অন্য এক ধরণ হবে। নকরেন্দ্রনগর এলাকার বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজের সামনে পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি বড় হোর্ডিং লাগানো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই হোর্ডিং গিয়েছে বদলে। পৌরসভার পক্ষ থেকে লেখা নির্দেশিকার বদলে হোর্ডিং এ লেখা রয়েছে “আমাকে বিয়ে করো…… ঐশ্বরিয়া।” অর্থাৎ সবার সামনে লাগানো হোর্ডিংয়ে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এই অদ্ভুত প্রেমিক। এছাড়াও তাতে লেখা ছিল, ” যেদিন তোমাকে প্রথম দেখলাম সেদিন থেকেই আমি তোমার হয়ে গিয়েছি। আমি তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, যাই হয়ে যাক না কেন আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার সাথে থাকবো।”

বর্তমানে হোর্ডিংয়ের অবস্থা

এই হোর্ডিংটি ওই উদ্ভট প্রেমিক এমন একটি জায়গায় তা স্থাপন করেছিলেন যেখানে সব থেকে বেশি মানুষ যাতাযাত করে। পাওয়ার হাউজ এর কাছে চিফ মেডিকেল অফিসারের অফিসের কাছে প্রধান সড়ক ধরে আসা-যাওয়া প্রতিটি মানুষ একবার করে হলেও ওই হোর্ডিংটির দিকে তাকান। তবে হোর্ডিংটি কবে লাগানো হয়েছিল? কিভাবে এবং কে লাগিয়েছিল? তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু এই হোর্ডিং নিয়েই এখন ওই জেলা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্রই আলোচনা একেবারেই তুঙ্গে। সবার মনে একটাই কৌতূহল কে এই প্রেমিক যিনি এভাবে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন? তবে পরবর্তীকালে বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ হোর্ডিংটি অপসারণের ব্যবস্থা করেন এবং তদন্ত শুরু করেন।

Related Articles