দেশ

একের পর এক স্বপ্ন পূরণ করে চলেছে “Isro”! এবার লক্ষ্য শুক্র গ্রহ

Mission Venus

The Truth of Bengal: চাঁদকে ছোঁয়া স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সূর্যের উপর নজরদারি চালাতে রওনা দিয়েছে আদিত্য এল১। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোরও শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই। এবার আরও এক বড় স্বপ্নের হাতছানি। এবার লক্ষ্য শুক্র গ্রহ। সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহের পাড়ায় এবার ঠিকানা জমানোর পালা। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, শুক্র মিশনের প্রস্তুতি নেওয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে মিশনের জন্য পেলোডগুলি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস অ্য়াকাডেমিতে বক্তব্য পেশের সময় ইসরো চেয়ারম্যান আগামী দিনের শুক্র মিশনরে সম্বন্ধে জানান।

বলেন, “আগাম ভবিষ্যতে অনেকগুলি মিশন পরিচালনা করার কথা ভেবেছেন তারা। আর তার মধ্যে শুক্র মিশনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।” শুক্র মিশন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সোমনাথ বলেন, শুক্র কৌতূহলোদ্দীপক গ্রহ। এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ সম্বন্ধীয় অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে। বলেন, “শুক্র গ্রহ নিয়ে সকলেরই আগ্রহ রয়েছে। এই গ্রহের আবহমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। শুক্রের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি, এটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। পৃষ্ঠ ভেদ করা দুঃসাধ্য। শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠটি শক্ত কি না তাও জানা যায়নি। আমরা এই বিষয়গুলিই বোঝার চেষ্টা করছি।

একদিন শুক্র গ্রহের মতো অবস্থা হতে পারে পৃথিবীর। হয়তো আজ থেকে দশ হাজার বছর পর পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ রূপে বদলে যাবে। হয়তো তখন আর বাসযোগ্য থাকবে না পৃথিবী।” শুক্র গ্রহের আকার ও মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর সমান। তবে এটির সব ক্ষেত্রে একেবারেই পৃথিবীর মতো নয়। শুক্র গ্রহটি সালফিউরিক অ্যাসিড যুক্ত অত্যন্ত প্রতিফলিত মেঘের একটি অস্বচ্ছ স্তরে আবৃত। এর বায়ুমণ্ডল চারটি পার্থিব গ্রহের মধ্যে সবেচেয় ঘন ও বেশিরভাগ কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে গঠিত। শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর থেকে প্রায় ৯২ গুণ বেশি। এই গ্রহে আট মাস অস্ত যায় না সূর্য। এই গ্রহে একটি দিন আট মাসের সমান। শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা ৪৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Free Access

Related Articles