দেশ

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নয়া ভাবনা ভারতীয় রেলের, উত্তরবঙ্গে চালু হেলমেট ক্যামেরা

Indian Railways' New Idea to Prevent Accidents, Helmet Cameras Launched in North Bengal

Truth Of Bengal : উত্তরবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে লাইভ মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে ভারতীয় রেল। এই আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে চলন্ত ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়বে। রেলওয়ে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন উভয়ের জন্য এই আধুনিক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছে। ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে রেল কর্মীরা দ্রুত ট্রেন থামাতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। এতে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। এই আধুনিক মনিটরিং ব্যবস্থায় রেল ভ্রমণ কি নিরাপদ হবে? ট্রেনের যন্ত্রাংশ পর্যবেক্ষণের জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে হেলমেট ক্যামেরা চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ এই হেলমেট ক্যামেরা রিড করে রেলকর্মীরা ট্রেনের বিভিন্ন অংশের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন, এমনকি ক্যামেরা সব রেকর্ড করবে। পরে প্রয়োজনে রেলের কর্মকর্তারা তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ইস্টার্ন রেলওয়ের বাংলার মালদহ সেকশনের রোলিং ইন-এন্ড-আউট পরীক্ষামূলক ট্রেনগুলির তত্ত্বাবধানের জন্য একটি হেলমেট ক্যামেরা মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

এই উন্নত সিস্টেম রিয়েল-টাইম মনিটরিং প্রদান করবে। চলন্ত ট্রেনের যন্ত্রাংশে যে কোনো ত্রুটি দ্রুত শনাক্ত করা যাবে। স্টেশনগুলি অতিক্রম করার সময় ট্রেনগুলি সাধারণত ধীর হয়ে যায়। যখন ট্রেনটি ধীর গতিতে একটি স্টেশন অতিক্রম করে, তখন এই হেলমেট ক্যামেরাটি ট্রেনের অংশগুলির যত্ন নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হবে। রেলওয়ের কর্মীরা এই হেলমেট ক্যামেরাগুলো পরবে ট্রেনের চাকা, বিয়ারিং এবং অন্যান্য অংশ পর্যবেক্ষণ করতে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হেলমেটটি আন্ডার-গিয়ার পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে। মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম মনীশ কুমার গুপ্তা জানিয়েছেন, ট্রেনের যন্ত্রাংশগুলি পর্যবেক্ষণ করতে হেলমেট ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি করা হবে।

এই ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করার অনেক সুবিধা রয়েছে। ইতিমধ্যেই মালদা বিভাগে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। মালদহ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ ও জামালপুর স্টেশনে মোট আটটি হেলমেট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ এবং মালদহ ডিভিশনের অন্যান্য স্টেশনগুলিতে এই সিস্টেমটি প্রসারিত করার পরিকল্পনা চলছে।

এর আগে, ভারতীয় রেলওয়ে কেন্দ্রীয়, পশ্চিম এবং পূর্ব রেল সহ একাধিক অঞ্চল জুড়ে ৪৪,০৩৮ টি কোচে সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করার পরিকল্পনা করেছিল। প্রতিটি কোচে ৪ থেকে ৮টি ক্যামেরা থাকবে, যেগুলো প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে অবস্থান করবে তাদের মুখ শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে।

অপরাধী সন্দেহভাজন এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের ট্র্যাক করতে সিস্টেমটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের নয়, শিশুদেরও মুখের ডেটা ক্যাপচার এবং বিশ্লেষণ করবে।

Related Articles