
The Truth Of Bengal: বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের রফার প্রয়াস জোরদার করল কংগ্রেস।গড়া হল কংগ্রেসের সমন্বয়কারীদের নাম। কংগ্রেসকে নমনীয় হওয়ার বার্তা দিচ্ছে বিরোধীদলের শরিকরাও।বিহার থেকে যে সমঝোতার রাস্তা খোলা হচ্ছে তার ইঙ্গিতও মিলল।এবার বিহারে কংগ্রেসকে লোকসভার ৪টি আসন ছাড়তে চায় জেডিইউ-আরজেডি।দুদলই ৪০ আসনের মধ্যে ১৭টি করে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ভোটের আগে সার্বিক সমঝোতার সূত্র বের করার চেষ্টায় ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা।
লোকসভায় বোঝাপড়ার রাস্তা ধীরে ধীরে তৈরি করছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।৫রাজ্যের ভোট পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে কংগ্রেসও অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।কারণ ২৪-এর লড়াইতে বিজেপি বিরোধী ভোটভাগ রোখা ছাড়া দিল্লিতে বদল যে অসম্ভব তা জোটের শরিকরাও বিলক্ষণ বুঝতে পারছে।এই অবস্থায় শরিকী সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করতে কংগ্রেস বড় সিদ্ধান্ত নিল।প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য সমন্বয়কারীদের নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণ থেকে আসন বন্টনের সামগ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে।
এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপালের সই করা বিবৃতিতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের সমন্বয়কারী হিসাবে রয়েছেন, প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়, অশোক ভট্টাচার্য-সহ অনান্য নেতারা। যাঁদের নাম সমন্বয়কারী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা যে আগামী দিনের ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না।ইন্ডিয়ার জোট আলোচনার আঁতুরঘর হল বিহার।সেখানেও ঐক্যের আবহ তুলে ধরার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে।কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে লড়ার বার্তা দিচ্ছে জোটের শরিকরা। বিহারে মোট লোকসভা আসন সংখ্যা ৪০। এর মধ্যে নীতীশ কুমারের জেডিইউ লড়তে চায় ১৭টি আসনে। অন্যদিকে তেজস্বী যাদবের দল আরজেডিও লড়তে চায় সমসংখ্যক, আসনে। কংগ্রেসকে তাঁরা ছাড়তে চায় ৪ আসন।তাই বড় দলের গরিমা ছেড়ে কংগ্রেস সঙ্গে আসতে চাইলে হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি বিরোধী শিবির।তাই অকংগ্রেসী দলগুলোর জোটধর্ম বজায় রাখার এই চিন্তাধারা দেশের রাজনীতিতে আলাদা পথ দেখাবে বলে বিরোধী নেতাদের আশা।
Free Access