দেশ

নাগরিকত্ব না থাকলেও শিশুদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট

Children cannot be deprived of their right to education even if they are not citizens: Supreme Court

Bangla Jago Desk: শিশুদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ। আধার কার্ড বা নাগরিকত্বের প্রমাণ না থাকলেও তাদের স্কুলে ভর্তি নিতে বাধা দেওয়া যাবে না।

বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড বা নাগরিকত্বের প্রমাণ না থাকলেও রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারা যেন স্কুলে ভর্তি হতে পারে, সে বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রোহিঙ্গারা কোথায় বাস করছে এবং তারা কোন দেশের নাগরিক, তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও চিকিৎসার দাবি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস’ সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। সংস্থার আইনজীবী কোলিন গঞ্জালভেস আদালতে জানান, দিল্লির শাহীনবাগ, কালিন্দী কুঞ্জ ও খেজুরি খাসে বসবাসরত রোহিঙ্গারা নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।

বিচারপতিরা জানতে চান, রোহিঙ্গাদের ভারতে বসবাসের বৈধ নথিপত্র আছে কি না। জবাবে আইনজীবী গঞ্জালভেস জানান, তাদের কাছে রাষ্ট্রসংঘের (UNHCR) শরণার্থী কার্ড রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি আদালতকে জানায়, আধার কার্ড না থাকায় রোহিঙ্গারা সরকারি স্কুল ও হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারছে না। এর ফলে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং অসুস্থদের চিকিৎসা করানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে হবে।
  • স্নাতক স্তরের শিক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।
  • সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে।
  • অন্তোদয় অন্ন যোজনা প্রকল্পের অধীনে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকেও খাদ্যসুবিধা দিতে হবে।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতে জানান, রোহিঙ্গাদের প্রতি কোনো বৈষম্য করা হবে না। ১০ দিনের মধ্যে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। আদালতের এই রায়ের পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষা ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles