
The Truth of Bengal: দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে একদিনে সাসপেন্ড করা হল ৭৮ জন সাংসদকে। প্রথমে লোকসভা থেকে ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। পড়ে রাজ্যসভা থেকে ৪৫ জনকে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। স্বাধীনতার পর একসঙ্গে এতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনা ইতিহাসে নেই। সব মিলিয়ে চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল।
এই ঘটনায় বিরোধীদের দাবি, গণতন্ত্রের পীঠস্থান থেকে বিরোধীদের শূন্য করে দেওয়ার ছক করছে শাসকপক্ষ। সংসদ হানার ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করায় রাজ্যাসভার ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত। এরই মধ্যে এবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল মোট ৩৩ জন সাংসদকে, আর রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল ৪৫ জন সাংসদকে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে।
এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘যা চলছে তা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি ভাগ্যবান আমি এখন আমি সাংসদ নই’। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এই মুহূর্তে দিল্লিতে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে যখন বঙ্গ ভবনে যখন দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন এই ঘটনা ঘটে। তারপর নিজের প্রতিক্রিয়া জানান।
লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় সবচেয়ে বেশি আছেন বাংলার সাংসদ। কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরির পাশাপাশি আছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল ও শতাব্দী রায়। সাসপেন্ড হয়েছেন ডিএমকে-এর তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদ। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা চলতি শীতকালীন অধিবেশনে থাকতে পারবেন না। মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে।