উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গের ভেতর এখনও আটকে ৪০ জন, রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে
40 people still trapped inside a trunk in Uttarakhand

The Truth Of Bengal : সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনাকাণ্ডে দু’দিন পার হয়ে গেলেও ভিতরে আটকে থাকা ৪০ শ্রমিককে উদ্ধার করতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে তাঁদের বের করে আনতে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে তিন ফুট ব্যাসের পাইপ। এছাড়াও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ড্রিল মেশিনও। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুড়ঙ্গের নির্মাণকারী সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়েল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকটার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের এক পদস্থ আধিকারিক। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কী কী চ্য়ালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে তা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, উদ্ধারের নতুন ব্লু প্রিন্টও তুলে ধরা হয়েছে।
‘ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গেলে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। সেক্ষেত্রে তাঁদের প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই আমরা প্ল্যান বি নিয়ে এগোচ্ছি। হরিদ্বার থেকে তিন ফুট ব্যাসের পাইপ আনা হয়েছে। ড্রিল মেশিন দিয়ে গর্ত করে সেগুলিকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রবেশ করানো হবে। এতে যে খোলা মুখ তৈরি হবে,তাই দিয়ে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকরা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন।’ এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন নির্মাণকারী সংস্থার ওই আধিকারিক। উল্লেখ্য়, এদিন সকালে ঘটনাস্থলে হরিদ্বার থেকে ট্রাকে করে মোট ৮টি পাইপ নিয়ে আসা হয়। সূত্রের খবর, আরও পাইপ সেখানে নিয়ে আসা হবে। ধ্বংসস্তূপ কেটে সেগুলিকে সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করাতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। রবিবার চার ধাম প্রকল্পের অন্তর্গত ওই টানেলের একাংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। যার জেরে উদ্ধার কাজে নামে NDRF, SDRF ও স্থানীয় পুলিশ।
সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত ২০ মিটার ধ্বংসস্তূপ কেটে সেখান থেকে সরানো গিয়েছে। এখনও ৩৫ থেকে ৪০ মিটার মতো এলাকা জুড়ে পড়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ। নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা থাকায় যা সরাতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে এই ঘটনায় ছ’সদস্য়ের একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর জন্য নির্মাণকারী সংস্থার পদস্থ আধিকারিকদের তলব করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে বাংলার তিনজন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি আরামবাগের পুরশুড়া ব্লকে। অপরজন কোচবিহারের বাসিন্দা। এছাড়াও সেখানে আটকে আছেন কোচবিহারের অপর এক জন। তবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে খাবার, জল ও অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
FREE ACCESS