সারারাত জলে ভেজানো কিশমিশ খেলে কী হয় জানেন?
Do you know what happens if you eat raisins soaked in water overnight?

The Truth Of Bengal, Mou Basu: ভিটামিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ শুকনো কিশমিশ হল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। ৬০% প্রাকৃতিক শর্করা আছে কিশমিশে। অন্য শুকনো ফলের চেয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে কিশমিশেই। ফ্যাট আর কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ কিশমিশ তৈরি করা হয় আঙুর শুকিয়ে কিন্তু আঙুরের চেয়ে ৪ গুণ বেশি পুষ্টিকর কিশমিশ। সারারাত জলে ভেজানো কিশমিশ খেলে কী হয় জানেন?
১) লিভার আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। কিন্তু অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য লিভার ভালো করে ডিটক্সিফিকেশন করতে পারে না। জলে ভেজানো কিশমিশ বা সেই জল খেলে রক্ত পরিশোধন করে। লিভারের বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়া স্টিমিউলেট করে। কিশমিশে ফাইবার থাকে বলে তা উৎসেচক বাইলের নিঃসরণ বাড়ে।
২) জলে ভেজানো কিশমিশ ও সেই জলে প্রচুর পরিমাণে ইনসলিউবল ফাইবার ও প্রাকৃতিক ফ্লুইড থাকে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও টারটারিক অ্যাসিড, ট্যানিনের মতো ফ্ল্যাভোনয়েড যা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে।
৩) কালো রঙের কিশমিশ ভেজানো জল খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।
৪) লোহা, ভিটামিন বি, তামা থাকে বলে কিশমিশ নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে।
৫) ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কিশমিশ হাড় মজবুত করে। এছাড়াও কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে বোরোন থাকে বলে তা অস্টিওপরোসিসের মতো ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করে।
৬) কিশমিশ ভেজানো জল খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক শর্করা আছে যা প্রোটিন শুষে নিতে সাহায্য করে।
৭) ফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিন্টস থাকে না কিশমিশ জ্বর আটকায়। ব্যাক্টেরিয়াল, ভাইরাল জ্বর আটকাতে পারে কিশমিশ ভেজানো জল।
৮) Streptococcus আর Porphyromonas নামক ব্যাক্টেরিয়া দায়ী দাঁতের সমস্যার জন্য। কিশমিশ ভেজানো জলে Oleanolic ও Phytochemical থাকে যা দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৯) কিশমিশে Resveratrol ও Anthocyanin ক্যানসার প্রতিরোধকারী পদার্থ আছে তাই কিশমিশ কোলোন, মেলানোমা, প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে।
১০) ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কিশমিশ ভেজানো জল খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পটাশিয়াম পাওয়া যায় বলে কিশমিশ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে বলে কিশমিশ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১১) ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা থাকে বলে কিশমিশ খেলে এনার্জি পাওয়া যায়। খাইখাই ভাব কমে।
১২) ফেনল, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বলে কিশমিশ ভেজানো জল ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় মাথার তালুতে। চুলের গোড়া মজবুত করে। মেলাটোনিন সমৃদ্ধ কিশমিশ খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।