শিক্ষা

বাংলা পড়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে

Bengali language will be compulsory in English medium schools

The Truth of Bengal: বাংলা ভাষার মর্যাদা বাড়াতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার।এতদিন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোয় উপেক্ষিত ছিল বাংলা।এখন সেই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাধ্যতামূলক হচ্ছে বাংলা।প্রাণের ভাষা-আবেগের ভাষাকে  বেসরকারি স্কুলগুলো বরণ করে নিক চাইছে রাজ্য সরকার।সেইমতো সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আনন্দের কথা তুলে ধরে বঙ্গবাসীকে বার্তা দিয়েছেন।ট্যুইটে তিনি লেখেন.. রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হল ।

প্রথম ভাষা বাংলা,দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি বাধ্যতামূলক।তৃতীয় ভাষা হিসেবে যে কোনও আঞ্চলিক ভাষা বেছে নেওয়া যেতে পারে। বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা  হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।রাষ্ট্রসংঘ বাংলাভাষাকে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলা ভাষা আর একুশে ফেব্রুয়ারি  সব মিলেমিশে একাকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার মর্যাদার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিলেন জব্বর, বরকত, রফিক, সালাম-সহ অনেকেই। প্রতিবেশী দেশে  ভাষা শহিদদের সম্মানে দুই বাংলার বুকের গভীরে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। একসময় অতুল প্রসাদ লিখেছিলেন.মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা –অতুলপ্রসাদ সেকথাই বিশ্ববাংলায় গর্বের সুরে যেন আরও একবার আওয়াজ উঠল।কেউ কেউ বলেন,  বাংলা ভাষার অক্ষরগুলি যেন আজ সত্যিই “দুঃখিনী বর্ণমালা মা আমার”.তাই বাংলা পক্ষ সহ নাগরিক সমাজের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দিয়ে বাংলার সরকার ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক করল।   মাতৃ ভাষা মাতৃ দুগ্ধ, রবীন্দ্রনাথের সেই আদর্শবাণী যেন কার্যকর হল।

এতদিন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে  যা ছিল অচেনা অক্ষর এখন তা পরিচিত হয়ে যাবে বলে আশা।বিদ্বজ্জনদের মতোই বাংলা পক্ষও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।তাঁদের আন্দোলন এতদিনে মান্যতা পেল বলে মনে করছেন বাংলা পক্ষের সদস্যরা। ইংরেজিমাধ্যম বিদ্যালয়ে বাংলা আবশ্যিক হলে বাংলার গৌরব বৃদ্ধি পাবে, মনে করছেন শিক্ষকসমাজ।ভাষার মাধ্যমেই ঐক্যের ভাবনা শক্তিশালী হবে বলেও আশবাদী শিক্ষার দিশারীরা।অভিভাবক থেকে পড়ুয়া,সকলেই মনে করছে পশ্চিমবঙ্গে থেকে বাংলা না শিখে শুধু ইংরেজি বা হিন্দি শেখার প্রবণতা কমানো দরকার।আবেগভরা কন্ঠে তাঁরা ঐতিহ্যের ভাষার মর্যাদাবৃদ্ধির কথাকে স্বাগত জানাচ্ছে। ভাষাবিদ থেকে শিক্ষাবিদ ,শিক্ষার কারিগর থেকে পাঠকসমাজ সকলেই বাংলার সরকারের বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়ার এই বাস্তব সিদ্ধান্তকে খোলামনে প্রশংসা করছে। ক্যামেরায় দেবরাজ দত্তের সঙ্গে প্রীতি সামন্তের রিপোর্ট।

Related Articles