বার্ড ফ্লু-তে বাঘের মৃত্যু, চিন্তা বাড়ছে মহারাষ্ট্রে
Tiger dies of bird flu, concerns grow in Maharashtra

Truth Of Bengal: চিনে নতুন করে ছড়ানো এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে কিছুটা চিন্তা বেড়েছে। ভারতে দুই শিশুর শরীরে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। ফলে কিছুটা উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে এই নয়া ভাইরাস নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে আশারবাণী শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। একদিকে যখন এমন পরিস্থিতি তখন অন্যদিকে, বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তিনিটি বাঘ ও একটি চিতা।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে গোরেওয়াড়া প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে তিনটি বাঘ এবং একটি চিতাবাঘের মৃত্যু ঘিরে এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে। মৃত্যুর কারণ বার্ড ফ্লু বলে জানানো হয়েছে উদ্ধারকেন্দ্রের তরফে। বাঘ ও চিতার মৃত্যুর পর মহারাষ্ট্র জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নাগপুরের গোরেওয়াড়া প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয়েছিল তিনটি বাঘ ও একটি চিতাকে। পৃথক পৃথক জায়গায় মানুষের ওপর হামলার ঘটনার পর উদ্ধার করে তাদের চন্দ্রপুর হয়ে নাগপুরে আনা হয়েছিল।
সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন গত ২০ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় একটি বাঘের। এরপর ২৩ ডিসেম্বর আরও দুটি বাঘ মারা যায়। মৃত্যুর কারণ জানতে বাঘগুলির দেহাংশের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস-এ। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতেই জানা যায় বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়েছিল বাঘ ও চিতা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোটা মহারাষ্ট্রে।
কীভাবে বাঘগুলি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হল, এবং কোথা থেকে সংক্রণ ছড়াল তা খতিয়ে দেখছেন পশু বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বন্য মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রামিত হয় সাধারণত তাদের শিকার করা কাঁচা মাংস খাওয়ার ফলে। এই বাঘগুলির মৃত্যুতে তেমন ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোরেওয়াড়া প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে ২৬টি চিতাবাঘ এবং ১২টি বাঘ রয়েছে। এই ঘটনার পর সব ক’টি প্রাণীরই নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু বর্তমানে ৩৮টি বাঘই সুস্থ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এমন ঘটনায় স্বভাবতই চিন্তা বেড়েছে বিভিন্ন মহলে।