ব্যবসা

লোকসানহীন ব্যবসা? এই কটি গাছের চাষ করলে আয় কোটিতে

Tree Business

The Truth of Bengal: আয় বাড়াতে কৃষকরা এখন ঝুঁকছেন লাভজনক ফসলের দিকে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের মধ্যেও গাছ চাষের প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। এই উদাহরণ শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কৃষকরা শুধু গাছ চাষ করেই ধনী হয়েছেন। গত কয়েক বছরে, ইউক্যালিপটাস, সেগুন, গামহার, মেহগনি প্রভৃতি গাছের চাষ কৃষকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসব গাছ অত্যন্ত কম খরচে ও কম পরিচর্যায় ভালো ফলন হয়। আর একটু ধৈর্য ধরে বসে থাকলে, ভবিষ্যতে বিপুল লাভের মুখ দেখতে পারেন। ধৈর্যহীন কৃষকদের জন্য, এই চাষ লাভজনক হবে না।

কৃষকদের মতে, মেহগনি গাছ বাড়তে ১২ বছর সময় লাগে। এর কাঠ থেকে পাতা এবং চামড়া অনেক গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাতা এবং বীজ থেকে মশা তাড়ানোর তেল এবং কীটনাশক তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। বাজারে এর বীজ বিক্রি হয় প্রতি কেজি এক হাজার টাকা পর্যন্ত। কৃষকরা ১২ বছরে সেগুন গাছ তুলতে বিক্রি করতে পারেন। সেগুন গাছ একবার কাটা হলে আবার বড় হয় এবং আবার কাটা যায়। এক একর জায়গায় ৫০০টি সেগুন গাছ লাগালে ১২ বছর পর এর এর দাম হবে কোটি টাকা।

ভারতের রফতানির পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বেই সেগুন কাঠের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের সেগুন কাঠ রফতানির ক্ষেত্রে তিন নম্বর জায়গা দখল করে রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৬২ হাজার সেগুন কাঠ ভারত থেকে রফতানি করা হয়। বিশ্বজুড়ে ১৪ হাজারের বেশি ক্রেতা রয়েছে। তাই, চাইলে, কোনও রফতানিকারক সংস্থার সঙ্গে টাই আপ করে, এই গাছ বিদেশে পাঠিয়েও ভালো টাকা রোজগার করতে পারেন।

 

Related Articles