Indian Stock Market: জিএসটি সংস্কারের জেরে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান, লাফিয়ে বাড়ল এই সেক্টরের শেয়ার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, আগামী দীপাবলির আগেই (অক্টোবর ২০২৫) চালু হতে চলেছে “নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কার”।
Truth of Bengal: সোমবার ভারতীয় শেয়ার বাজারে দেখা গেল জোরালো উত্থান। ১.৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যায় বাজার। এর পেছনে প্রধান কারণ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জিএসটি সংস্কার এবং বিশ্ববাজারে অনুকূল পরিবেশ। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা কমায় বিনিয়োগকারীদের মনোবল আরও চাঙ্গা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, আগামী দীপাবলির আগেই (অক্টোবর ২০২৫) চালু হতে চলেছে “নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কার”। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংস্কার পরিবারগুলির ওপর করের চাপ কমাবে। ফলস্বরূপ চাহিদা বাড়বে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে গতি আসবে (Indian Stock Market)।
আরও পড়ুনঃ WhatsApp AI: মেসেজ লিখতে হোয়াটসঅ্যাপের নয়া এআই নির্ভর ফিচার
কীভাবে বদলাবে জিএসটি কাঠামো?
যদিও পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনও প্রকাশ হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে— ১২% ও ২৮% জিএসটি স্ল্যাব বাতিল হতে পারে। অধিকাংশ পণ্য চলে আসবে ৫% ও ১৮% হারে। ১২% শ্রেণির প্রায় ৯৯% পণ্য ৫% স্ল্যাবে আসবে। ২৮% শ্রেণির প্রায় ৯০% পণ্য নামবে ১৮% স্ল্যাবে। কেবল বিলাসী ও “সিন” ক্যাটাগরির জিনিসপত্রের ওপর থাকবে ৪০% কর। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিবর্তনে ভোক্তাকেন্দ্রিক খাত যেমন—অটোমোবাইল, এফএমসিজি, ইলেকট্রনিকস, বিমা, পেইন্ট, লজিস্টিক্স—সব ক্ষেত্রেই চাহিদা ও লাভজনকতা বাড়বে (Indian Stock Market)।
কারা লাভবান হবে?
ব্রোকারেজ সংস্থা ওসওয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী— কনজিউমার স্ট্যাপলস (দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য) – চাহিদা বাড়বে, কাঁচামালের খরচ কমবে। অটোমোবাইল খাত – বিশেষত চারচাকার গাড়ি। মারুতি, টাটা মোটরস ও অশোক লেল্যান্ড সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে, কারণ বর্তমানে ২৮% জিএসটি দেওয়া হলেও তা নামবে ১৮%-এ। সিমেন্ট, হোটেল (₹৭৫০০-এর কম ভাড়ার রুম), খুচরো বাজার (ফুটওয়্যার)– সব ক্ষেত্রেই চাহিদা বাড়বে। কনজিউমার ডিউরেবলস (বিশেষত এসি), কুইক কমার্স, লজিস্টিক্স, ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস (EMS)– এ ক্ষেত্রেও বাড়বে বিক্রি।
Truth of Bengal fb page: https://www.facebook.com/truthofbengal
বিশ্লেষকদের মতে— আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে।ভোগব্যয় বাড়লে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে, ঋণের চাহিদা বাড়বে, ফলে ২০২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে ঋণ বৃদ্ধি দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারে। ভোক্তাকেন্দ্রিক ঋণদাতা সংস্থা ও ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলিও সরাসরি উপকৃত হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বজাজ ফাইন্যান্স সবচেয়ে লাভবান হবে। ইএমআই-এর চাপ কমলে কনজিউমার ডিউরেবলসে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। ফলে এনবিএফসি খাতেরও ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে (Indian Stock Market)।






