মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া চিকিৎসকদের, হাসপাতালে চালু পরিষেবা
Responding to the call of the Chief Minister, the doctors, the hospital started services

Truth of Bengal: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা কর্মবিরতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যপরিষেবা কিছুটা ব্যাmamataত হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বেশকিছু হাসপাতালে পরিষেবা চালু রাখেন চিকিত্সকদের একাংশ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আউটডোর খোলা ছিল,দেওয়া হয় জরুরি পরিষেবা। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা চালু থাকলেও আউটডোর বন্ধ ছিল। ইসলামপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্যাহত হয় পরিষেবা।
হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিত্সকরা আউটডোরে বসেননি। আরজিকরের তরুণী চিকিত্সককে নৃশংস নির্যাতনও হত্যার প্রতিবাদে শনিবার কর্মবিরতির ডাক দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। দেশের ৫৫হাজার হাসপাতালে কমবেশি পরিষেবা ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে চিকিত্সকদের একাংশ পরিষেবা চালু রাখেন।
কলকাতার আরজিকর,মেডিক্যাল কলেজ,এসএসকেএমের মতোই শহরতলি ও জেলার হাসপাতালগুলোতে তার কমবেশি প্রভাব পড়ে। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে জরুরি পরিষেবার মতোই আউটডোর খোলা ছিল। দূর দূরান্তের রোগীরা মোটের ওপর বহু জটিল রোগের চিকিত্সা করাতে সক্ষম হন। রোগীরা জানান,তাঁরা সবধরণের ট্রিটমেন্ট করাতে পারছেন এই ব্যস্ততম হাসপাতালে।
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে চিকিত্সকদের ডাকে।তাতে রোগীরা ভোগান্তির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।তাই মানবিক কারণে সিনিয়র ডাক্তার সহ অন্যান্য চিকিত্সকরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন,যাতে রোগীরা সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। একইসঙ্গে তাঁরা বলছেন,এই সময়ে রেফার করলে রোগীদের কলকাতায় চিকিত্সা পাওয়া কষ্টের হবে।তাই জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে পরিষেবা চালু রাখার আন্তরিক উদ্যোগ নেন চিকিত্সকসমাজ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও রোগীরা পরিষেবা মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেন।তাঁরা বলছেন,তাঁদের হয়রানির মুখে পড়তে হয়নি। এই হাসপাতালে বর্ধমান ,বাঁকুড়া,হুগলির রোগীরা আসেন। তাঁরা স্পষ্ট করেন চিকিত্সকরা যথেষ্ট যত্ন নিয়েই পরিষেবা দিচ্ছেন।কাউকে ফেরাচ্ছেন না কোনওভাবে। হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালে খোলেনি টিকিট কাউন্টার, ওপিডি বন্ধ। আই এম এ র ডাকা কর্মবিরতির জন্য পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা কিছুটা সমস্যায় পড়েন।
আউটডোর বন্ধ থাকলেও জরুরি চিকিত্সার জন্য চিকিত্সকরা সহযোগিতা করেন রোগীদের সঙ্গে।কয়েকদিনের ছন্দপতন হওয়ার ছবিটা কিছুটা বদলাচ্ছে বলে রোগীও ও রোগীর পরিজনরা মনে করছেন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশনের ডাকে শনিবার কর্মবিরতিতে অংশ নেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। আউটডোর বন্ধ ছিল।
শুধু জরুরি পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই কিছু টা রোগী ভোগান্তিতে পড়ে।এইকইছবি দেখা যায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও। ইসলামপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্যাহত হয় পরিষেবা। প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে চিকিত্সকদের একাংশ পরিষেবা প্রদানে এগিয়ে আসায় রোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।