
The Truth of Bengal: ইরাক থেকে আপাতত সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। বর্তমানে ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। গত সপ্তাহে বাগদাদ ঘোষণা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট থেকে তারা বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরপর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা জানানো হয়।
মার্কিন বিমানবাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখনই সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার ব্যাপারে তাদের কিছু জানা নেই। আইসিসকে পরাজিত করার লক্ষ্যে তারা দৃঢ়ভাবে মনোভার পোষোন করেন বলে জানান।’ ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে মার্কিন সেনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বাগদাদে ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। পেন্টাগন দাবি করে, এ হামলায় মার্কিন কর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে চালানো হামলার জন্য দায়ী এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হয়েছেন।
এরপর শুক্রবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ শুরু করার ঘোষণা করে হয়। বিবৃতিতে সুদানির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক জোটের অস্তিত্বের যৌক্তিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা করছে।’ ইরাকে থাকা আড়াই হাজার সেনার পাশাপাশি সিরিয়ায়ও যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ সেনা রয়েছে। তারা ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে সহায়তা করে।