
The Truth of Bengal: বেদান্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দিল ফক্সকন। ফলে ভারতে আসছে না ১ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকার লগ্নি। ধাক্কা খেল মোদির স্বপ্নের প্রকল্প। বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফক্সকন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী বেদান্তের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার। তবে তাইওয়ানের এই সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে ভারতে তারা আসছে না। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘ফক্সকন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতে বেদান্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক উদ্যোগটি তারা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় না।’ গুজরাটের মাটিতে বেদান্তের এই শিল্প উদ্যোগে ভারতের মাটিতে চিপ তৈরির ভাবনা ছিল যা শুরুর আগেই শেষ হল।
যদিও কেন তারা বেদান্তের সঙ্গে আর ব্যবসা করতে চায় না তা নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি ফক্সকনের তরফ থেকে। তারা জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে বেদান্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবার্তা চালিয়েছে। ‘দারুণ একটা সেমিকন্ডাক্টরকে বাস্তবে রূপ দিতে’ কথা চলেছে দফায় দফায়। তার পরেও বিষয়টি রূপ পায়নি। সেই কারণেই তারা এই প্রকল্প থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। যৌথভাবেই এই প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফক্সকন, যা এখন থেকে শুধুই বেদান্তের মালিকানাধীন। গুজরাট ভোটের আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে ফক্সকনের সঙ্গে ১৯৫০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বেদান্ত গোষ্ঠীর।
ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা। আইফোন ও অ্যাপেল সংস্থার জন্য চিপ তৈরি করা তাইওয়ানের সংস্থা ফক্সকন ভারতে লগ্নি করতে আসায় নিশ্চিতভাবেই উদ্দীপনা তৈরি হয় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই প্রবল উৎসাহী ছিলেন। ভোটের আগে মোদির রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থান ও শিল্পের জোয়ার আসার স্বপ্ন দেখানো হয়, যা নিশ্চিতভাবেই প্রভাব ফেলে ইভিএমে। মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় ছিনিয়ে গুজরাটে এই প্রকল্প নিয়ে যাওয়ার পরেও অবশ্য শেষরক্ষা হল না। ফক্সকন ও বেদান্ত দুই সংস্থা চিপ তৈরির কাজে আগে থেকেই অভিজ্ঞ। সেই কারণেই এই সংস্থার জোট নিয়ে উৎসাহ ছিল অনেকটাই বেশি। আশা করা হয়েছিল ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের সেমিকন্ডাক্টরের বাজার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার তৈরি করবে। কিন্তু তা শুরু হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়ল।