
Truth Of Bengal: মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধরাশায়ী হল ভারত। ১৮৪ রানে হারতে হল ভারতকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপের মুখে পড়ে ভারত। ব্যর্থ হন রোহিত-বিরাট-কেএল রাহুলরা। একা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক ৮৪ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট দখল করেন প্যাট কামিন্স ও স্কট বোলান্ড। ভারতের স্কোর ১৫৫।
চলতি বছরের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পারথে প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছিল ভারত। তারপর অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতকে প্রথম টেস্টে হারিয়ে মধুর বদলা নিয়েছিল প্যাট কামিন্স বাহিনী। এরপর গাব্বার টেস্ট ড্র হওয়ার পরে চতুর্থ টেস্টে মেলবোর্নের ২২ গজে ফের ভারতকে নিয়ে একপ্রকার ছিনিমিনি খেললো অস্ট্রেলিয়া।
প্যাট কামিন্সরা প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ভারতের সামনে ৪৭৪ রানের টার্গেট খাড়া করে। অজিদের এই ইনিংসে দূরন্ত ব্যাটিং করেছিলেন স্টিভ স্মিথ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দলের ব্যাটিং-এ যশস্বী এবং নীতীশ ছাড়া বাকিরা সবাই ব্যর্থের তালিকায় নাম লেখালেন। শেষবেলায় শতরান পূর্ণ করে নীতীশ কিছুটা অক্সিজেন দিলেন ঠিকই, কিন্তু ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট ছিল না।
প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানে এগিয়ে থাকার সুবিধাটা দ্বিতীয় ইনিংসে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। এই ইনিংসে অজিদের সংগ্রহ ২৩৪ রান। মোট ৩৩৯ রানের টার্গেট তাঁরা খাড়া করেন ভারতের সামনে।
কিন্তু ভারতীয় ব্যাটারদের অফ ফর্ম বজায় থাকল দ্বিতীয় ইনিংসেও। শুরুতেই হিটম্যানকে ফেরত পাঠিয়ে কামিন্স বুঝিয়ে দিলেন এই ম্যাচেও কঠিন পরিস্থিতি হতে চলেছে ভারতের সামনে। একে একে রোহিতের দেখানো পথই অনুসরণ করলেন কেএল রাহুল থেকে বিরাট কোহলি। তবে তারই মাঝে কিছুটা চেষ্টা করলেন পন্থ। কিন্তু হলে কি হবে, তাঁর সহযোগী ব্যাটাররা সবাই তো আয়ারাম আর গয়ারাম হয়ে গিয়ে প্যাভিলয়নের পথ ধরছেন।
এই অবস্থায় আর কতক্ষণই বা ধৈর্য রাখা যায়। ফলে যা হওয়ার তাই হল। ৩০ রান করেই সাজঘরে ফিরলেন পন্থ। চলতি সিরিজে ধারাবাহিকভাবে ভাল ব্যাটিং করা নীতীশ মেলবোর্নের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হলেন। ব্যর্থ হলেন আর এক অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। ফলে যা হওয়ার তাই হল। হাসতে হাসতে মেলবোর্নের ২২ গজ থেকে ভারতকে ধরাশায়ী করে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ২ ম্যাচ জিতে ভারতের থেকে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, এই সিরিজে যদি ভারত জিততে না পারে তাহলে আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে আর অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা পাবে না রোহিত ব্রিগেড। কেননা ইতিমধ্যেই প্রথম দল হিসেবে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দল হিসেবে ভারতের থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সুতরাং এই সিরিজ জিততে না পারলে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। কাজেই সিডনির টেস্টে সিরিজ বাঁচালেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের অংশগ্রহণ অনেকটাই নির্ভর করবে অন্যের ওপর। কেননা অস্ট্রেলিয়া এরপর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩টি ম্যাচ খেলবে। সেই সিরিজে যদি অস্ট্রেলিয়া জিততে না পারে, তাহলেই হয়তো কপাল খুলবে রোহিতদের সামনে। নতুবা এবারের মত সব আশা শেষ।