Truth Of Bengal: Mou Basu: আলোর উৎসব দীপাবলিতে অবাঙালি পরিবারে সুদৃশ্য রঙিন রঙ্গোলী আঁকা হয়। অবাঙালিদের দেখাদেখি এখন বাঙালিরাও ঘর সাজান রঙ্গোলীতে। তবে বাঙালির চিরাচরিত আল্পনার থেকে আলাদা রঙ্গোলী কারণ এতে রঙের ব্যবহার করা হয়। আল্পনায় শুধু সাদা রঙের ব্যবহার করা হয়। হিন্দু ধর্মে রঙ্গোলীকে শুভত্বের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। জিওমেট্রিক, ফুলের পাপড়ি ও ফুলের আকারে আঁকা হয় রঙ্গোলী। রামায়ণেও উল্লেখ আছে রঙ্গোলীর।
মূলত, রঙ্গোলীতে পদ্মফুল, ময়ূর, আম, মাছের প্রতীক আঁকা হয়। বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও শান্তির কামনায় রঙ্গোলী আঁকা হয়। বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তিকে দূর করতে ও ঈশ্বরের শুভ আগমন যেন বাড়িতে হয় তার জন্য রঙ্গোলীতে মালক্ষ্মীর পা আঁকা হয় মধ্যিখানে।
প্রাচীন ভারতের এক প্রাচীন শিল্প হল রঙ্গোলী। সংস্কৃত শব্দ রঙ্গবল্লী থেকে রঙ্গোলী শব্দ এসেছে। গুঁড়ো রঙ ছাড়াও ফুলের পাপড়ি ও পাতার গুঁড়ো দিয়ে আঁকা হয় রঙ্গোলী। বাড়ি থেকে নেতিবাচক অশুভ শক্তি দূর করতে রঙ্গোলীতে প্রদীপ আঁকা হয়। মনে করা হয়, সুদৃশ্য রঙিন রঙ্গোলী বাড়ির সব সদস্যকে রক্ষা করবে। বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব বাড়বে।